চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে এত অনীহা কেন?

ডেঙ্গুজ্বর ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করার অন্যতম প্রধান কারণ এডিস মশার বংশ বিস্তার। এর ফলে প্রতিদিনই শত শত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এডিস মশার বিস্তার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘মেয়র আতিকুল বলেছেন, প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশ কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং, পানির মিটারে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা জমা হচ্ছে।’

এ তথ্য বিবেচনায় নিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কার্যক্রম মনিটরিং শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এছাড়া টায়ার, ডাবের খোসাসহ অপ্রয়োজনীয় জিনিস আঞ্চলিক কার্যালয়ে জমা দিলে অর্থ পুরস্কার দেবে ঢাকা সিটি উত্তর। এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

তবে শঙ্কার বিষয় হলো: করোনা মহামারির মধ্যেই দেশে দিন দিন ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। পয়লা জানুয়ারি থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। হাসপাতালগুলোর আইসিইউতেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ। এরপরও কেন নাগরিকরা নির্মাণাধীন ভবন কিংবা পানির মিটারে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করছেন না? ডেঙ্গু বিস্তারে কেন সহযোগী হচ্ছেন নির্মানাধীণ ভবন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এরপরও যদি তারা সচেতন না হয়, তাহলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা যেতে পারে।

এক্ষেত্রে মেয়র আতিকুল আরও একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি জনসাধারণকে ডেঙ্গু সচেতনতায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রতি শনিবার সকাল ১০টায় ১০ মিনিট নিজ বাসাবাড়ি পরিস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। একে শুধু আহ্বানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে।

এসব উদ্যোগ অবশ্যই শুভ, তবে এগুলো সিটি কর্পোরেশনের ডেঙ্গুবিরোধী মূল কর্মযজ্ঞ নয়। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে নিয়মিত ওষুধ ছিটানোসহ নিয়মিত কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। ডেঙ্গু প্রবণ এলাকাগুলোতে নতুন করে পরিকল্পনা ও যথাযথ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। এজন্য সিটি কর্পোরেশনকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। একইসাথে ডেঙ্গু নিধন কার্যক্রমকে দুর্নীতিমুক্ত করা না গেলে সফলতা আসবে না। এজন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।