তৃতীয় বারের মতো ‘উইমেন্স ইনোভেশন ক্যাম্প শুরু হচ্ছে। যৌথভাবে এই ক্যাম্পের আয়োজন করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এবং গ্রামীণফোন হোয়াইট-বোর্ড।
এটুআই দীর্ঘদিন ধরেই নারী সমতার বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তাদানের পাশাপাশি নারী ক্ষমতায়নের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে সমাজকে যুক্ত করতে কাজ করে আসছে। আর এরই ধারাবাহিকতায়, জাতীয় বিভিন্ন সমস্যায় সমাধান নিয়ে আসার ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী নারীদের উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম প্রদানে এটুআই, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ‘উইমেন্স ইনোভেশন ক্যাম্প’ কর্মসূচি চালাচ্ছে গ্রামীণফোন।
সমাজের উল্লেখযোগ্য সব সমস্যা শনাক্ত করা এবং উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এসব সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে কাজ করাই এ ক্যাম্পের লক্ষ্য। প্রতিযোগিতার চূড়ান্তে পর্বে সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো ধারণা ও সমাধানকে পুরস্কৃত করা হবে এবং এ ধারণাগুলোর সফল বাস্তবায়নে সহায়তা করা হবে।
২০১৬ ও ২০১৭ সালের এ কর্মসূচির সফল সমাপ্তির পর এটুআই এ বছর ‘উইমেন্স ইনোভেশন ক্যাম্প ২০১৮’ আয়োজন করছে।
মে মাসে ‘উইমেন্স ইনোভেশন ক্যাম্প ২০১৮’- এর জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয় এবং তা আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত করা হবে।
এ আয়োজনে দেশের সব নারী (ব্যক্তিগত/প্রাতিষ্ঠানিক) অংশগ্রহণ করতে পারবে। সারাদেশ থেকে নারী আবেদনকারীরা সমস্যা জর্জরিত খাতের ওপর ভিত্তি করে তাদের উদ্ভাবনী ধারণা জমা দিতে পারবেন। সবচেয়ে সম্ভাব্য ও বাস্তবায়নযোগ্য ধারণাগুলো ক্যাম্পের প্রতিযোগিতামূলক পর্বে উন্নীত হবে।
পরবর্তীতে, আবেদনকারীরা তাদের উদ্ভাবন নিয়ে কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য যাবে। নির্বাচিত উদ্ভাবকদের দু’টি ধাপে নিজেদের ধারণা উপস্থাপন করতে হবে। যেখানে তাদের প্রমাণ করতে হবে যে তাদের ধারণার সামাজিক সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে।
ধারণা উপস্থাপন পর্বের পর, দলগুলো একটি বুট ক্যাম্পে যোগ দিবে, যেখানে তাদের চূড়ান্ত ধারণা উপস্থাপন পর্বের প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করে তোলা হবে। চূড়ান্ত ধারণা উপস্থাপন পর্ব চলাকালীন, দেশের নারীদের মধ্য থেকে সেরা উদ্ভাবক বেরিয়ে আসবে।
এ নিয়ে উপ-সচিব ও এটুআই- এর ইনোভেশন স্পেশালিস্ট শাহিদা সুলতানা বলেন: উইমেন্স ইনোভেশন ক্যাম্প’র লক্ষ্য প্রযুক্তিখাতে আরও বেশিসংখ্যক নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং তাদের অবদানকে দীর্ঘযাত্রায় টেকসই করে তোলা। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে, হোয়াইট বোর্ডের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব দ্রুত আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
তরুণ উদ্ভাবকদের জন্য সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম জিপি হোয়াইট-বোর্ড তরুণদের সঠিক প্ল্যাটফর্ম পেতে এবং তাদের উদ্ভাবনকে সামনে নিয়ে যেতে সহায়তা দিয়ে আসছে। এ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে বৈচিত্রময় সব উদ্ভাবক (নারী), যারা তাদের উদ্ভাবন ও সুযোগ সন্ধান নিয়ে উদ্যমী। আর এ লক্ষ্যেই, জিপি হোয়াইট-বোর্ড এ উদ্যোগে ‘ইনোভেটিভ এনাবলার’ হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
দেশের নারী উদ্ভাবকদের জন্য এটা সবচেয়ে বড় উদ্যোগ। এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি বলেন: এ উদ্যোগটি একেবারেই অভিনব এবং বেশ বড় পরিসরে হচ্ছে। আমি এ উদ্যোগ নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত। এ উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। আমি মনে করি, আমরা এতোদিন উদ্ভাবন নিয়ে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছি তার এর মধ্যে এটা সবচেয়ে সম্ভাবনাময়। আমি এজন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমি দেখতে চাই, তারা জিপি হাউজে তাদের ধারণাগুলো সবার সামনে উপস্থাপন করছে।