দ্রুত ইংল্যান্ডের তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পুরো বাংলাদেশের মনোকাশে মেঘ জমেছিল। সেই মেঘই হয়তো বৃষ্টি নামাল এজবাস্টনের আকাশে। তাতে স্বস্তি ফিরল টাইগার দল ও সমর্থকদের মাঝে। এই ম্যাচে যে কেবল অস্ট্রেলিয়ার জয়ই একমাত্র চাওয়া সকলের।
অজিরা হারলেই সেমির টিকিট পাবে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ইংলিশদের সামনে ২৭৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে স্টিভেন স্মিথের দল। রান তাড়া করতে নেমে ৬ ওভারে ৩৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে স্বাগতিকরা।
এরপরই নেমেছে জুম বৃষ্টি। ক্রিকইনফো বলছে সময়ের সাথে বৃষ্টির বেগ বাড়ছে। সেই বৃষ্টি অঝোরে ঝরতে পারে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত। যা বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা পর্যন্ত খেলায় বাগড়া দিতে পারে।
তেমন হলে ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া লড়াই। এতে সুবিধা বাংলাদেশের। তখন অজি ও টাইগারদের দুদলের পয়েন্টই হবে ৩ করে। কিন্তু টুর্নামেন্টে একটি জয় থাকায় এগিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয় সেমিতে যাবে বাংলাদেশ। কেননা অজিরা থাকবে পুরো টুর্নামেন্টেই জয়হীন। তাদের তিন পয়েন্টই হবে বৃষ্টিতে পাওয়া।
এর আগে এজবাস্টনে শুরুতে ব্যাট করে তিনশর ওপরের দিকেই চোখ করে এগোচ্ছিল অজিরা। ওয়ার্নার (২১) ও ফিঞ্চের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪০ রান। পরে স্মিথকে নিয়ে ৯৬ রানের প্রতিরোধ গড়েন ফিঞ্চ।
স্টোকসের বলে মরগানের তালুবন্দী হওয়ার আগে ফিঞ্চের নামের পাশে ৬৮ রান। ৮ চারে ৬৪ বলে সাবধানী ইনিংসটি গড়েছেন অজি ওপেনার।
সেখান থেকে দ্রুত হেনরিক্সকে (১৭) হারালেও আরেকটি ফিফটির জুটি গড়ে চাপ সামলান স্মিথ ও ট্রাভিস হেড। অধিনায়ক স্মিথ ৭৭ বলে ধীরস্থির ৫৬ রানে সাজঘরে ফেরার পরই রানে গতি কমে আসে অস্ট্রেলিয়ার।
লোয়ার-মিডলে ম্যাক্সওয়েল ২০, ওয়েড ২ রানে সাজঘরে ফিরলে আড়াইশর কাছেই গুটিয়ে যাওয়ায় শঙ্কায় পড়ে অজিরা। তখনো একপ্রান্ত আগলে ছিলেন হেড। শেষপর্যন্ত সংগ্রহটা যে তিনশর কাছাকাছি গেল তাতে পুরো অবদানই তার। ইনিংস সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭১ রান এসেছে ৫ চার ও ২ ছয়ের প্রতিরোধে।
শেষপর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াকে গুটিয়ে দিতে না পারলেও বলে দারুণ করেছেন ইংলিশরা। চারটি করে উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন মার্ক উড ও আদিল রশিদ। উড তো ১০ ওভারে এক মেডেনে খরচ করেছেন মাত্র ৩৩ রান। অন্য উইকেটটি স্টোকসের।