চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এখানে মন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়ের দরকার নেই: ব্যারিস্টার আমীর

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকুরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা করতে আইন মন্ত্রণালয়ের দরকার নেই বলে আদালতে মতামত উপস্থাপন করেছেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীর ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকুরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত শুনানির পর তিনি এমন মতামত উপস্থাপন করলে এই আবেদনটি দুই সপ্তাহ পরে শুনানি হবে বলে আদেশ দেন আদালত।

ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম জানান, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট এই রুলস প্রণয়ন করে শুধু রাষ্ট্রপতির সম্মতি নিলেই হয়। এখানে মন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়ের দরকার নেই।

এর আগে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকুরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশে সরকারকে দুই সপ্তাহ সময় দেন আদালত।

আদালতে রোববার অ্যাটর্নি জেনারেলের চার সপ্তাহ সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ দুই সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করেন। এসময় আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে এ সংক্রান্ত খসড়ায় নিয়ে পূর্ব ঘোষিত আলোচনায় বসার তাগিদ দেন। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল আইনমন্ত্রী অসুস্থ আছেন বলে জানান।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকুরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় শৃঙ্খলা সংক্রান্ত একটি খসড়া বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়। কিন্তু গত বছরের ২৮ আগস্ট আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।

এরপর সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইনমন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একই সঙ্গে ৬ নভেম্বর ২০১৬ এর মধ্যে খসড়া বিধিমালা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানাতে আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে খসড়া বিধিমালা প্রকাশের জন্য বার বার সময় নেয়া হয়।

এরপর ২৭ জুলাই প্রধান বিচারপতির সাথে সাক্ষাৎ করে আইনমন্ত্রী প্রধান বিচারপতিকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকুরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া দেন। তবে সে খসড়া বিধিমালা নিয়ে আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।