উইকেট পেলে পা ছড়িয়ে হাত মেলে দাঁড়িয়ে পড়তেন নিঃশব্দে। বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুর দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উদযাপনের ভঙ্গি ছিল এমন। গত বছরের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে এ তরুণ উদযাপনে এনেছেন ভিন্নতা। প্রথমে দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ডান হাত দিয়ে বুকের বামে ও বাম হাত দিয়ে বুকের ডানপাশে আঘাত করে দুই হাত মেলে ধরেন দুই দিকে।
আগেরটি শহিদ আফ্রিদি ও বর্তমানেরটি হাসান আলীর মতো হলেও সাইফউদ্দিন নিজে মনে করেন না কাউকে তিনি অনুকরণ করছেন। পাকিস্তানি দুই ক্রিকেটারের সঙ্গেই বিপিএল খেলেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ডেরায়। কেনো অনেকটা তাদের মতোই উদযাপন, সেটি রহস্য বানিয়ে রাখলেও পার্থক্য করলেন দুই সময়ের ভঙ্গিকে, ‘মনে করেন, এখন অ্যাগ্রেসিভ আগেরটা ডিফেন্সিভ।’
যে মনোভাব নিয়ে উদযাপনে নতুনত্ব এনেছেন সাইফউদ্দিন, তা মূর্ত করে তুলেছেন পারফরম্যান্সে। বল হাতে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ধারাল ও আক্রমণাত্মক দেখা যাচ্ছে তাকে। বিপিএলে ১১ ম্যাচে ১৭ উইকেট শিকারে করে উঠে এসেছেন সেরা পাঁচে। ইকোনমি রেট ৭.২৬।
শুক্রবার মিরপুরে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে শেষ ওভারে ১৩ রান ডিফেন্ড করে কুমিল্লাকে জয় এনে দেন সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে পান ম্যাচসেরার পুরস্কারও।
অক্টোবরে ওয়ানডে দলে ফিরেই নতুন উদযাপনের আক্রমণাত্মক ছাপ রাখেন এ পেসার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে তিন উইকেট শিকার করে হন ম্যাচসেরা। পুরো সিরিজেই কিপটে বোলিংয়ে ফিরে পান আস্থা।
পরে বছরের শেষদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলেন একটি ওয়ানডে। ৯ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। যদিও টি-টুয়েন্টি সিরিজে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবে বিপিএলের মঞ্চে আলো ছড়াচ্ছেন নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে দলে থাকা এ পেস-অলরাউন্ডার।