রকেট বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড দুই ম্যাচ সিরিজের পর্দা উঠছে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে। র্যাঙ্কিং-এর চতুর্থ স্থানে থাকা ইংল্যান্ডকে ফেভারিট মেনেই সিরিজ শুরু করছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক। তার আশা অভিজ্ঞদের সঙ্গে তরুণরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরা পারফরম্যান্স দিয়ে ইংলিশদের সঙ্গে উপভোগ্য প্রতিদ্বদ্বিতা গড়ে তুলবে।
প্রায় দেড় বছর বিরতির আবার আবারো সাদা পোশাকে আর্ন্তজাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ । এ সবকিছু পিছু ঠেলে ওয়ানডে ক্রিকেটের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
ইংল্যান্ডকে ফেভারিট মানলেও লড়াই করার ইঙ্গিত কিন্তু ঠিকই দিয়েছেন মুশফিকুর। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্য আমরা প্রস্তুত। কঠিন লড়াই করতে পারবো আমরা। সিরিজটি আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জের।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো খেলার জন্য সেশন ধরে ধরে খেলার পরিকল্পনার কথাও জানালেন মুশফিকুর, ‘সেশন ধরে ধরে খেলতে হবে। এভাবে খেলতে পারলে আমরা ভালো করতে পারবো। আমাদের মূল্য লক্ষ্য এটাই। তবে প্রথম ইনিংস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে লিড পাবে অথবা শুরুতে ম্যাচের লাগাম নিতে পারবে, তারাই পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।’
এজন্য প্রথম ইনিংসে নিজের লক্ষ্যের কথাও জানালেন মুশফিকুর, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে ৩০০-এর বেশি রান করা। এটা আমাদের জন্য বড় কিছু হবে। আমাদের টপ অর্ডার ও ব্যাটসম্যানদের বড় বড় স্কোর করতে হবে। মোমিনুল ছাড়া আমরা টপ অর্ডারের পাঁচজনই ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই খেলছি। সবাই ফর্মে আছে। আশা করি ব্যাটসম্যানরা ভালো করবে।’
ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি দলের বোলারদের উপরও অগাধ আস্থা মুশফিকুরের। টেস্টে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেয়ার ক্ষমতা তার দলেরবোলারদের আছে বলে জানালেন তিনি, ‘আবহাওয়ার কারনে উইকেটের চরিত্র প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। এজন্য এখনো বোলিং কম্বিনেশন ঠিক করা যায়নি। উইকেট দেখে ঠিক করা হবে। দলের বোলারদের উপর আমার আস্থা রয়েছে। ২০ উইকেট নেয়ার মতো বোলার আমাদের দলে রয়েছে।’
প্রথম টেস্টের ১৪ জনের স্কোয়াডের চার তরুণ আছেন অভিষেকের অপেক্ষায় । ব্যাটিং যেমনই হোক দলের বোলিং ডিপার্টমেন্টে অভিজ্ঞদের অভাব চোখে পড়ার মতো। তারপরও টেস্ট ক্যাপ্টেনের আশা,পরিচিত উইকেট নিরাশ করবেনা তাদের, ইংলিশদের দু’বার অল আউট করার হিম্মত টাইগার বোলারদের রয়েছে।
একাদশ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হলেও, অলরাউন্ডার সাব্বির রহমান,মেহেদি হাসান মিরাজের টেস্ট অভিষেকের সম্ভাবনা প্রবল। পিছিয়ে নেই নুরুল হাসান সোহান কিংবা কামরুল ইসলাম রাব্বিরও।