বর্তমান প্রেক্ষপটে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে কি না তা ভবিষ্যতই বলে দেবে-এমন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, ‘সম্পর্কটা কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে আপাতত কিছুই করতে চাচ্ছি না।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ইসলামাবাদে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তার নিখোঁজের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘টানাপোড়েন হলেই যে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে এমন নয়। যুদ্ধের সময়ও অনেক দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকে। আপাতত এমন কিছু করতে চাচ্ছি না। ভবিষ্যৎই বলে দেবে এটা কোন দিকে যাবে। সময়টা বিবেচনা করতে হবে।’
‘সব কথার শেষ কথা হলো, জাতীয় স্বার্থটা মাথায় রাখতে হবে। সেই বিষয়টা বিবেচনা করে আমরা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মূল্যায়ন করে থাকি। পকিস্তানের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি প্রযোজ্য হবে।’
একাত্তরের পরাজিত এ দেশটির সঙ্গে সম্প্রতি কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতা ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকরের পর তা আরো তীব্র হয়।
এরই মধ্যে সোমবার ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হন পাকিস্তানি হাইকমিশনের প্রেস সেকশনের এক কর্মকর্তা। এরই জের ধরে সোমবার রাতে ইসলামাবাদে ‘নিখোঁজ’ হন বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা। যদিও কয়েকঘণ্টা পর ফেরত আসেন তিনি।
এই ঘটনার পর ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনারকে ডেকে তীব্র প্রতিবাদ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।