ড্রেন আর স্যুয়ারেজ লাইন পরিস্কার থাকায় আসন্ন বর্ষা মৌসুম নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডবাসী। শতভাগ এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আসার পাশাপাশি অধিকাংশ জায়গায় এখন ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করছে ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ।
আরামবাগ, ফকিরাপুল, ফকিরাপুল বাজার এবং মতিঝিল ও দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় নিয়ে দক্ষিণ সিটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডে স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলে প্রায় চার লাখ মানুষের বাস।
ওয়ার্ডে এক যোগে চলছে ১৪টি রাস্তার উন্নয়ন কাজ। এক সময়ের ভুতুড়ে গলি এখন আলোকিত। ছোট ছোট জায়গায় গড়ে ওঠা ছাপাখানাগুলোতে নির্বিঘ্নে চাঁদাবাজি ছাড়াই রাত দিন চলছে কাজ। দিনে দুই বেলা রাস্তা ঝাড়ু দেওয়া হচ্ছে এ ওয়ার্ডে।
ওয়ার্ডে স্থায়ী কাঁচা বাজার থাকলেও নেই কমিউনিটি সেন্টার, লাইব্রেরী এবং জিমনেসিয়াম। তবে মোড়ে মোড়ে সিসি ক্যামেরা লাগায় দারুণ খুশি ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ। ১৩৪টি সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক নজরদারি চলে ওয়ার্ড কাউন্সিল অফিস থেকে।
এলাকাবাসীরা বলেন, বর্তমান কমিশনার আমাদের উন্নয়নের অধিকাংশই বাস্তবায়ন করেছেন। আগে রাস্তার পাশে দখল করে বসে থাকতো, এখন আর থাকে না। পরিবেশটা অনেক সুন্দর হয়েছে।
গলিগুলোতে গেইট এবং গেইটম্যান থাকায় বাড়তি নিরাপত্তা পাচ্ছে ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসীদের মতে, গেইটের যে নিরাপত্তা তাতে মনে হয় আমি দরজা খুলে ঘুমাতে পারি। এখন যে কাজ হচ্ছে সেটা ভালো কাজ হচ্ছে।
তবে ওয়ার্ডের একমাত্র সমস্যা এখন ফুটপাত দখল। বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ।
তিনি বলেন, মাদক হোক বা অবৈধ দখলদার ব্যবসায়ী, এটা প্রশাসনই পারবে নির্মূল করতে। আমরা তাতে সাহায্য করতে পারবো। আমরা কিন্তু সামাজিকভাবে সেটা নির্মূল করতে পারবো না। চলাচলের রাস্তাটা বা ফুটপাত যদি ব্যবহারের উপযোগী করে না দিতে পারি তাহলে মানুষ কি রোডের ভেতর দিয়ে হাঁটবে, মানুষ কি গাড়ির ভেতর দিয়ে হাঁটবে?
ওয়ার্ডের মোড়গুলো ফ্রি ওয়াইফাই জোন হওয়ায় বিনা খরচে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিতে পারছে দক্ষিণের এই ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ। সুবিধাগুলো স্থায়ী করার দাবি জানিয়েছে ওয়ার্ডবাসী।