এক কেজি গরুর মাংস কুকুর খেয়ে ফেলার কারণে হত্যা করা হয় শিশু ফাহিমকে। দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ১৫ জুন সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালি সীমান্ত সংলগ্ন একটি পাট ক্ষেত থেকে শিশু ফাহিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শিশু ফাহিমের স্মরণ করেন আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন:
সাতক্ষীরা কুশখালি গ্রামের মুজিবর রহমান ১৪ জুন বাজার থেকে এক কেজি মাংস কিনে প্রতিবেশীর নাতি আট বছরের ফাহিমকে বলে তার বাসায় দিয়ে আসতে। ফাহিম মুজিবরের বাসায় কাউকে না পেয়ে মাংসের প্যাকেটটি দরজার বাইরে রেখে নিজের বাসায় চলে যায়।
এক পর্যায়ে সেই মাংস কুকুররা টানাটানি করে খেয়ে ফেলে। বাড়ি এসে তা দেখে ফাহিমকে ডেকে পাঠায় মুজিবর। ফাহিম সত্য কথা বলবার পর তাকে বেদম পেটাতে থাকে মুজিবর ও তার পরিবার।
সে সময় ফাহিমের গায়ের বিভিন্ন জায়গা ফেঁটে গিয়ে রক্ত ঝড়তে থাকলে সেগুলোতে ফেবিকল আঠা দিয়ে জোড়া দেয়া হয়। কিন্তু একসময় ফাহিমের গা ফুলে উঠতে থাকলে তাকে একটি বাক্সে ঢুকিয়ে রাখা হয়।
সেই বাক্সের ভিতরে ফাহিমের মৃত্যু ঘটে। ফাহিমের মৃতদেহ লুকাতে বাক্সটি তারা পাশের পাট ক্ষেতে ফেলে আসে। ১৫ জুন ফাহিমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৭ জুন মুজিবরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফাহিমের বাবা প্রবাসী তাই মাকে নিয়ে সে নানাবাড়ি থাকতেন।