নিখোঁজ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির জন্য একটি মিশন পরিচালনা করা হয়েছে যেখানে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
সেই মিশনটি সৌদি আরবের প্রধান ইনটেলিজেন্স সার্ভিসের এক বড় কর্মকর্তার দ্বারা পরিচালিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তিনটি সূত্র থেকে এই তথ্য মিলেছে।
ওই তিন সূত্রের একটি বলছে, মিশন পরিচালনাকারী ওই অফিসার সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের খুবই কাছের মানুষ। তবে এখনও পরিস্কার হয়নি যে ক্রাউন প্রিন্স কি জিজ্ঞাসাবাদ, তদন্ত নাকি হত্যার নির্দেশনা দিয়েছিলেন তাকে।
দ্বিতীয় সূত্রটি বলছে, ওই কর্মকর্তা খাশোগিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিজের একটি দল তৈরি ও প্রেরণ করে। তাদের সন্দেহ ছিলো খাশোগির সঙ্গে সৌদির তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী কাতারের সম্পর্ক ছিলো। তবে খাশোগির এই ধরনের সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ মেলেনি।
আরেকটি সূত্র বলছে, খাশোগি রিয়াদকে কি বলেছেন সেসব বিষয়ে মিশন পরিচালকরা পরিষ্কার নয়। সেটা থেকেই বোঝা যায় কেন সরকারের কাছে কোনো পরিষ্কার তথ্য নেই।
এই ঘটনায় সৌদি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় তৈরি রিপোর্টে এসব তথ্য সংযুক্ত করা হবে কিনা সেই বিষয়ে কোনো পরিষ্কার তথ্য মেলেনি। সূত্র বলছে, রিপোর্টে বলা হতে পারে খাশোগি বিশৃঙ্খল জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
তুর্কির এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছে ২ সপ্তাহ আগে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটে খাশোগিকে হত্যা করার পরে তার মরদেহ টুকরা টুকরা করে ফেলা হয়। এর আগে সোমবার রাতে নয় ঘণ্টাব্যাপি তার খোঁজ চালায় সেই তুর্কি কর্মকর্তা। তবে সেই মৃতদেহ কিভাবে সরানো হয়েছে সেই ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কূটনৈতিক মিশনে প্রবেশ করার পর থেকে জামাল খাশোগির আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বাগদত্তাকে বিয়ের জন্য কাগজপত্র নিতে সেখানে যান তিনি। এরপরেই নিখোঁজ হন জামাল খাশোগি।