একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর এখন জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ‘বাংলা’র স্বীকৃতির স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
ভাষাবিদরা বলছেন, ওই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালি ও নতুন প্রজন্মকে আরো বেশি বাংলা চর্চার সুযোগ করে দেওয়া দরকার।
শাহিনা আক্তার সুমি দুবাইয়ে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দেশে ফিরেছিলও তার পরিবার। প্রবাসে থাকার সময় নিজের সন্তানকে মাতৃভাষা বাংলায় পড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও সেই সুযোগ তিনি পাননি। এর প্রভাব দেশে ফিরেও তিনি দীর্ঘসময় ধরে বয়ে বেড়াচ্ছেন।
সুমির মতো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে প্রায় এক কোটি বাঙালি। এই প্রবাসীরা চাইলেই কি তাদের সন্তানদের জন্য মাতৃভাষা বাংলায় শিক্ষা দিতে পারেন?
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় বিশ্ব দরবারে প্রথমবারের মতো বাংলাকে তুলে ধরেছিলেন। ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি।
এখন বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার চেষ্টা চলছে? কিন্তু, বিশ্বময় বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসারের কাজ কতটা এগিয়েছে?
লেখক-সাহিত্যিকরা বলছেন, স্বপ্নের বাস্তবায়ন হলে গৌরবের ইতিহাসে যোগ হবে আরো একটি অর্জনের পালক। কিন্তু বিশ্বময় বাংলার প্রচার প্রসারে উদ্যোগও জরুরি।