‘সোরহাব মির্জা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব। স্ত্রী , দুই কন্যা ও এক শ্যালক নিয়ে বেশ বড়সড় নিজ বাস ভবনই এখন তার পৃথিবী। অবসর নেয়ার পর তার উপলব্ধি হয়েছে ইন্টারনেটের এই যুগে আগামী প্রজন্ম বাংলা ভাষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং এর পেছনে প্রধান কারণ ভালো ছড়াকার না থাকা। এখন আর কেউ ভালো ছড়া লেখেও না, শিশুরাও তাই বাংলায় আগ্রহ হারিয়েছে।
পুরোনো সেই ছড়া ইদানিং কালের শিশুদের আগ্রহ তৈরী করতে পারছে না। তাই তিনি নিজেই ছড়া লিখতে নেমে পড়েন। দিনরাত ছড়া লিখে যাচ্ছেন। তবে তার সাথে একেবারেই একমত নন শ্যালক ফোরকান। সে মনে করে গানই পারে দ্রুত মানুষের মনে প্রবেশ করতে। তাই বাংলা ভাষাকে রক্ষায় প্রচুর গান লিখে যাচ্ছে সে।
ছড়াকে সাহিত্যের অংশ মনেই করে না ফোরকান। এই ছড়া আর গান নিয়ে শালা দুলাভাইয়ের দ্বন্দ্ব চরমে। এদিকে এমনই একদিনে মির্জা সাহেবের বাড়িতে গ্রামের বাড়ি থেকে ভাষা সৈনিকের নাতি বর্ণ এক চিঠি নিয়ে হাজির হয়। চিঠিতে লেখা নাতিটাকে পাঠালাম তোমার বাসায় থেকে একটা চাকরি খুঁজবে। গ্রামের একমাত্র ভাষা সৈনিকের কথা ফেলতে পারেন না সোরহাব মির্জা। বর্ণ’র আশ্রয় জোটে সেই বাড়িতে। এরপর পরই শুরু মূল গল্প।’
এমন গল্পেই নির্মিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে চ্যানেল আইয়ের বিশেষ টেলিফিল্ম ‘আ মরি বাংলা ভাষা’। রাজীব আহমেদের রচনা ও সকাল আহমেদের পরিচালনায় ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে প্রচার হবে এটি।
টেলিছবিতে অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা, সারোয়াৎ বৃষ্টি, মাসুম বাশার, হিন্দোল রায় প্রমুখ।