চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

একা রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছেন ২৪ লাখ শিশুর প্রাণ

জেমস হ্যারিসন। ৬০ বছর ধরে দুই সপ্তাহ পর পর রক্ত দিয়ে আসছেন তিনি। তার দেয়া রক্ত এখন পর্যন্ত প্রায় ২৪ লাখ অস্ট্রেলিয়ান শিশুর জীবন বাঁচিয়েছে।

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেমস হ্যারিসনের রক্ত অন্য সবার চেয়ে আলাদা। তার রক্তের সেল রোগ প্রতিরোধের জন্য এন্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে। রেসাস (Rhesus disease) ডিজিজের প্রতিষেধক হিসেবে এন্টি-ডি তৈরিতে তার রক্ত দারুণভাবে কাজ করে থাকে।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বলা হয়, রেসাস রোগের ফলে গর্ভে থাকা শিশুর রক্তের কোষ নষ্ট করে দেয়। এর ফলে শিশুদের ব্রেন নষ্ট হয়ে যেতে পারে, এমনকি  শিশুদের মৃত্যুও ঘটতে পারে।

ওই রোগ প্রতিরোধে ইনজেকশন তৈরি করতে ব্যবহার করা হতো জেমস হ্যারিসনের রক্তের প্লাজমা। রক্তের প্লাজমা নেয়ার পর রক্তের কণিকা আবার হ্যারিসনের শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হতো। যার ফলে সে ঘন ঘন রক্ত দান করতে পারত।

অস্ট্রেলিয়ার রেডক্রসকর্মী জেমা ফ্যালকেনমায়ার বলেন, প্রত্যক ব্যাগ রক্ত আমাদের কাছে মূল্যবান। কিন্তু জেমস হ্যারিসনের রক্ত ‘বিস্ময়করভাবে মূল্যবান’। তার রক্ত দিয়ে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। যেসকল মায়ের রক্ত তার অনাগত সন্তানকে রেসাস রোগে আক্রান্ত করার ঝুঁকি থাকে তাদেরকে দেয়া হয় ওই ওষুধ।

অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যেক ব্যাচের এন্টি-ডি তৈরি করা হয় জেমস হ্যারিসনের রক্ত থেকে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ১৭ শতাংশ নারী ওই রোগের ঝুঁকিতে থাকে। সুতরাং জেমস ৬০ বছরে অনেক জীবন বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করেছেন।