চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের পক্ষে তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন

একাত্তরে স্থানীয় পর্যায়ে গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, আইন ও বিধি মেনেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে অনেক আসামী, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও সাক্ষী মৃত্যুবরণ করার কারণে দ্রুত বিচার শেষ করতে একটির পরিবর্তে একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের পক্ষে তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে ২৬ মামলায়। সাজাপ্রাপ্ত আসামীর সংখ্যা ৫০। এর মধ্যে ২৮ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের মধ্যে পলাতক আছে ২১ জন। আপিল বিভাগে ৭ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে আর ১ জনকে দেওয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে ২০ মামলার। একটি মামলা রায় ঘোষণার অপেক্ষায়। এর মধ্যে দুটি ট্রাইব্যুনালের মধ্যে একটিকে সক্রিয় রেখে আরেকটিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মামুন বলেন, একটা মাত্র ট্রাইব্যুনাল হওয়াতে বিচারের গতিটা শ্লথ হয়েছে। এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত আসামী, সাক্ষী, ভিকটিমতো অনন্তকাল জীবিত থাকবে না। তারা না থাকলে তো বিচার কার্যক্রমও চলবে না। আর এই বিচার যেহেতু সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার, ফলে যত দ্রুত সম্ভব বিচারকাজ সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে আরো ৪-৫টি ট্রাইব্যুনাল করতে হবে।

একাত্তরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা, ধর্ষণ, গণহত্যার ৪৫০টি এবং ভুক্তভোগী ও শহীদ পরিবারের ২২৫টি আবেদনসহ অভিযোগ আছে ৬৭৫টি। এর মধ্যে যাচাই বাছাই করে তদন্ত করছে তদন্ত সংস্থা।

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান বলেন, আইন ও বিধির বাইরে কাজ করার কোনো সুযোগ আমাদের নাই। আমরা সেভাবেই চালিয়ে যাচ্ছি। গ্রাম পর্যায়ে যদি আমরা যায়, সেখানে দেখা যায় হত্যা, গণহত্যা, রেপের পরিমাণ এত বেশি যে সেগুলোতে গুরুত্ব দিতে গেলে বর্তমানের মামলাগুলোকেওতো গুরুত্ব দিতে হয়।

বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে হবে কেন্দ্রীয়ভাবে। জেলা ও থানায় পর্যায়ে এই বিচার করতে হলে আইনে সংশোধনী আনতে হবে।