বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে জেমকন খুলনার একাদশে দেখা যায়নি ইমরুল কায়েসকে। ধরে নেয়া হচ্ছিল টিম কম্বিনেশনের কারণে বাদ পড়েছেন এ ব্যাটসম্যান। ইমরুল জানালেন ভিন্ন কথা। পারিবারিক কারণে বায়ো বাবল ভাঙায় তিনি ছিলেন আইসোলেশনে।
‘একাদশে জায়গা হারাতে হয়নি। আমার ব্যক্তিগত, পরিবারের সমস্যার কারণে বাসায় গিয়েছিলাম। কিছু নিয়ম ছিল, যার জন্য হয়তবা খেলতে পারিনি। আইসোলেশনে ছিলাম। যার জন্য খেলতে পারিনি।’
করোনা পরিস্থিতির কারণে বঙ্গবন্ধু কাপের পাঁচ দলকেই রাখা হয়েছে হোটেল সোনারগাঁওয়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ে (বায়ো বাবল)। টুর্নামেন্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই থাকতে হবে তাদের।
পারিবারিক কারণে ইমরুলকে বায়ো বাবল ভাঙতে হয়েছে। যে কারণে বাসা থেকে এসেই দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি। ছিলেন পর্যবেক্ষণে। খেলতে পারেননি খুলনার শেষ ম্যাচে।
সাত ম্যাচের শেষ পাঁচটিতেই ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন ইমরুল। ইনিংস বড় করতে না পারলেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
প্রথম দুটি ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন ইমরুল। তারপরও সুযোগ দেয় খুলনা। এ ওপেনারকে অবশ্য ব্যাটিং করতে হয়েছে বিভিন্ন পজিশনে। তার শেষ পাঁচ ইনিংস যথাক্রমে ২৪, ২৭, ৩৭, ২৯, ২১।
নিজের পারফরম্যান্সে খুশি কিংবা হতাশ নন ইমরুল। খুলনা উঠেছে টুর্নামেন্টের শেষ চারে। এখন প্লে-অফে ভালোকিছুর দিকে তাকিয়ে তিনি। সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
‘পারফরম্যান্স নিয়ে আমার যে প্রত্যাশা ছিল, ওইভাবে করতে পারি নাই। কিন্তু ঠিক আছে, একটা খেলোয়াড় সবসময় সব টুর্নামেন্টে ভালো খেলে না। এখনও সুযোগ আছে। আরও দুই ম্যাচ আছে। চেষ্টা করব জায়গামতো ভালো খেলার। যখন ওই সময়ে ওইভাবে চেষ্টা করব পারফরম্যান্স করার।’