প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে-বিদেশে আইটি নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্র অনেক প্রসারিত হচ্ছে। একসময় আইটি প্রোডাক্টই রপ্তানিতে বড় ভূমিকা রাখবে।
রোববার ভিডিও কনফারেন্সে যশোরে ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে’র উদ্বোধন করে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
যারা সৃষ্টি করে তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, অন্যরা আসলে দেশের সেভাবে উন্নয়নের কথা ভাবে না। আগে কেউ কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারতো না। সেসময় আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের কোনো সংযোগও ছিলো না। আমরা চিন্তা করলাম কিভাবে আমাদের ছেলেমেয়েকে প্রযুক্তি জ্ঞান দিতে পারি।
তখনকার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তখন পরিকল্পনা করলাম কেউ তাদের পুরনোগুলো দিলে আমরা আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের শেখাতে পারবো। তখন কম্পিউটারের দামও বেশি ছিলো। আমরা তিনটি কম্পিউটার দিয়ে শুরু করলাম। আর এখন আমরা বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা এখন শহর ছাড়িয়ে গ্রামগুলোতেও চলে যাচ্ছি।’
“আজকের টেকনোলজি পার্কটা যশোরে করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকা সুনির্দিষ্ট করে আমাদের কাজ করা উচিত। এত সুন্দর জায়গা সবাইকেই নিঃসন্দেহে আকৃষ্ট করবে। বহুলোকের কর্মসংস্থানও হবে।”
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শহরের শংকরপুর এলাকায় বেপজায় আইটি পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এটি নির্মাণে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
পার্কে ১৫তলা এমটিবি ভবন, ১২তলা বিশিষ্ট ফাইভ স্টার মানের ডরমেটরি ভবন, আর্ট কনভেনশন সেন্টার এবং আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কসহ সকল প্রকার আধুনিক সুবিধা রয়েছে। এতে মোট প্রায় ২.৩২ লাখ বর্গফুট স্পেস থাকবে। প্রতিটি ফ্লোরে ১৪ হাজার বর্গফুট স্পেস থাকবে।
জাপানি ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী ডরমেটরি ভবনের ১১তলা আন্তর্জাতিক মানের জিম তৈরি স্থাপন করা হয়েছে। পুরো ভবনটি নির্মিত হয়েছে ভূমিকম্প প্রতিরোধে সক্ষম নির্মাণ কাঠামো দিয়ে। পাশাপাশি পার্কে একটি ৩৩ কেভিএ পাওয়ার সাবস্টেশন আছে।