অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি তামিম ইকবাল। জানা যাচ্ছিল না ওয়ানডে নেতৃত্ব নিয়ে তার ভাবনার কথা। প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগের দিন রাজি হলেন কথা বলতে। অধিনায়ক তামিম জানালেন লক্ষ্যের কথা। প্রত্যাশা পূরণে ভক্ত-সমর্থকদের কাছে চাইলেন কিছুটা সময়, মিনতি জানালেন ধৈর্য ধরার।
সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা যে দায়িত্ব সামলাতেন সেটি এখন তামিমের কাঁধে। ৮৮ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করে মাশরাফী বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন ৫০ বার। ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়ে টাইগার ক্রিকেটকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। নতুন অধিনায়ক তামিমও চান সাফল্যের ধারায় দলকে রাখতে। কিন্তু শুরুতেই খুব বেশি আশা করাটা সমীচীন হবে না বলে মনে করেন তিনি।
‘আপনি যদি সোজা আমার কাছ থেকে ওই সাফল্য আশা করেন তাহলে এটা আমার জন্য অবিচারই বলতে হবে। কিন্তু আমি চেষ্টা করবো, আমি বলছি না যে পারব না বা এই দল পারবে না। এ কারণেই আমি বললাম যে একটু সময় দিয়েন আমাকে। কারণ এটা এমন একটা জিনিস যে একরাতে সব পরিবর্তন হয়ে যাবে না। পৃথিবীর সব জায়গাতেই দেখতে পারেন। যত কম সময়ে এটা আমি নিতে পারি আমার জন্য দলের জন্য তত ভালো।’
‘অনফিল্ড ক্যাপ্টেনসিতে আমার দর্শন হলো, আমি আক্রমণাত্মক হতে চাই। আমি আগ্রাসী থাকতেই পছন্দ করি। একটা হচ্ছে, আপনার পরিস্থিতি অনেক সময় বুঝতে হবে। সবকিছু দেখেই আপনার বুঝতে হবে যে আপনি কী করবেন। আপনাদের সবাইকে এটাই বলব, এক্ষেত্রে একটু ধৈর্য রাখি।
‘এক সিরিজ, দুই সিরিজ বা পাঁচ ম্যাচে আমার ব্যাটিং ব্যর্থতা- এটা হতেই পারে। আশা করি হবে না। অধৈর্য হয়েন না। আপনাদের বলব, দর্শকদের বলব এটাই যে অধৈর্য হয়েন না। আমি এটাই চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি এটা ঠিক হয়ে যায়। যদি ছয় মাসে, এক বছরে বা দেড় বছরে কোনো কিছু ঠিক না হয় বা দলের প্রতি আমি সঠিক কিছু করতে পারছি না, তাহলে আমিই হবো প্রথম ব্যক্তি যে হাত তুলে বলব, আমি দুঃখিত।’