মাঠ থেকে উইকেট আলাদা করা কঠিন। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ২২ গজে সবুজ ঘাসের উপস্থিতি এতই বেশি। সকাল থেকে রোদের দেখাও মেলেনি সেভাবে। পেস-কন্ডিশন পুরোপুরি কাজে লাগালেন মোস্তাফিজুর রহমান। তুলে নিলেন ৪ উইকেট। বাঁহাতি পেসারের বোলিং নৈপুণ্যে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে মাত্র ১৭০ রান করেও প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে মধ্যাঞ্চল।
মিরপুরে বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে মোস্তাফিজ এক ইনিংস বোলিং করে দিয়েছিলেন ১০৬ রান। পাননি কোনো উইকেট। লাল বলে জৌলুস কিছুটা কমে যাওয়ায় জায়গা হয়নি পাকিস্তান সফরের টেস্ট দলে। এ বাঁহাতি পেসার জ্বলে উঠলেন ঠিকই, তবে একটু দেরিতে।
মোস্তাফিজের ৪ উইকেট শিকারে ১৬৬ রানে গুটিয়ে গেছে উত্তরাঞ্চল। প্রথম ইনিংসে তারা পেয়েছে ৪ রানের লিড। আরিফুল হক ৫০ ও জুনায়েদ সিদ্দিকী করেছেন ৪৭ রান।
বোলিং উইকেটে আগে ব্যাট করে ১৭০ রানের বেশি তুলতে পারেনি মধ্যাঞ্চল। ৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা দলটি শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল। সেটি সামলে দলকে লড়াকু পুঁজির দিকে নিয়ে গেছেন আব্দুল মজিদ ও তাইবুর রহমান।
প্রথম ইনিংসকে অনুসরণ করে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান নাঈম শেখ। তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হন বাঁহাতি ওপেনার। আরেক ওপেনার মার্শাল আইয়ুবও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১১ রান করে সুমন খানকে উইকেট দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। রকিবুল হাসান ২৭ রান করে সালাউদ্দিন শাকিলের বলে আউট হন।
৫০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা দলকে পথ দেখান মজিদ-তাইবুর। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৮৯ রান। দ্বিতীয় দিনের বিকেল পর্যন্ত মধ্যাঞ্চলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬৪ রান।
আরিফুল হকের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে তাইবুর করেছেন ৪৭ রান। ফিফটি পেরিয়ে মজিদ অপরাজিত ৬০ রানে। ২২ গজে এখন তার সঙ্গী শুভাগত হোম (১৪*)। চার দিনের ম্যাচটিতে দুই দিনেই পড়েছে ২৪ উইকেট।