লিগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসেছিল প্রথম জয়। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচে হার। মঙ্গলবার অষ্টম রাউন্ডে তারা হেরেছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে। আট ম্যাচ খেলে এক জয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট পাওয়া আশরাফুল-তুষারদের সেই কলাবাগান ক্রীড়া চক্র এখন প্রথম বিভাগে নেমে যাওয়ার শঙ্কায়।
টিকে থাকার লড়াইয়ে কলাবাগানের প্রতিদ্বন্দ্বী এখন প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ারে আসা পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। তাদেরও ৮ ম্যাচে ২ পয়েন্ট। টেবিলের তলানির দল ভিক্টোরিয়া এখনও জয়ের মুখ না দেখায় কিছুটা স্বস্তি কলাবাগানের। একমাত্র জয়টি তাদের বিপক্ষেই পেয়েছিল দলটি।
প্রিমিয়ার লিগের গত আসরেও টানা হারের খড়গে পড়েছিল কলাবাগান। কিন্তু শেষের দিকে টানা চার ম্যাচ জিতে সুপার লিগে (সেরা ছয়) ওঠার সুযোগ তৈরি করেছিল তারা। প্রাইম ব্যাংকের সমান ১২ পয়েন্ট পাওয়া কলাবাগান সুপার লিগে উঠতে পারেনি রানরেট কম থাকায়। এবার মাশরাফি নেই কলাবাগানে। মাঠে কিছুই যেন হচ্ছে না দলটির। শেষ ম্যাচে আশরাফুল খেলেননি তার শাশুড়ি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায়। তার জায়গায় অধিনায়কত্ব করেছেন লংগার ভার্সনে ব্যাটে রানের ফল্গুধারা ছোটানো তুষার ইমরান। পরের ম্যাচগুলোতেও অধিনায়কত্ব করবেন তুষার। তাতে কি ভাগ্য ফিরবে কলাবাগানের?
টানা হারে হতাশ হয়ে পড়েছেন তুষার। চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে আলাপকালে বললেন, ‘যেদিন ব্যাটিং হয় সেদিন বোলিং হয় না, যেদিন বোলিং হয় সেদিন ব্যাটিং হয় না, এটাই সমস্যা। ব্যাটসম্যানরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাট করতে পারছে না উইকেটে গিয়ে। বড় একটা স্কোর করতে পারলে হয়তো বোলাররা আত্মবিশ্বাস পেত। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।’
লিগে বেশ কয়েকটি ম্যাচেই জয় তুলতে পারত কলাবাগান। দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী মোহামেডানের সঙ্গে দারুণ লড়াইয়ের পর হেরেছে তারা। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছে প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গে। মাত্র ১ রানে হার ম্যাচটিতে। তুষারের বড় আক্ষেপ ওই ম্যাচ নিয়ে, ‘কোন কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। একটা হার সব ওলট-পালট করে দিয়েছে। প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গে হারের পর সব ওলট-পালট হয়েছে গেছে।’
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তিন মৌসুম পর প্রিমিয়ার লিগে ফেরা মোহাম্মদ আশরাফুল রান পেয়েছেন মাত্র এক ম্যাচে। তুষার ইমরান, মেহরাব জুনিয়র, তাসামুল হকরা সবাই নিষ্প্রভ। রান করছেন কেবল জিম্বাবুইয়ান রিক্রুট হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।
আশরাফুল রানে ফিরুক এটি খুব করে চাইছেন তুষার। দলের মূল ব্যাটসম্যান রান না পাওয়ায় কিছুটা হতাশাও ঝরল তার কণ্ঠে, ‘আমরা চাই আশরাফুল রানে ফিরুক। ও আমাদের মেইন ব্যাটসম্যান। যদিও চার বছর পর এসে রান করা কঠিন। ও রানে আসলে আমরা হয়তো কয়েকটা ম্যাচে জিততে পারতাম। আমরা চাচ্ছি জয়ে ফিরতে। পরের ম্যাচটা যদি জিততে পারি।’
১৬মে নবম রাউন্ডের দ্বিতীয় ফেসের ম্যাচে কলাবাগানের প্রতিপক্ষ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। জয়ে ফিরতে এ ম্যাচকেই টার্গেট করছে কলাবাগান।