করোনায় থেমে থাকা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি চাঙা করতে অতি দ্রুত দেশের প্রেক্ষাগৃহ খুলে ছবি চালাতে চায় চলচ্চিত্রের ‘মাদার অর্গানাইজেশন’ প্রযোজক পরিবেশক সমিতি। একই চাওয়া দেশের প্রেক্ষাগৃহ মালিকদেরও।
সংগঠনের নেতারা সরকারি ‘গ্রিন সিগন্যাল’-এর অপেক্ষায় আছেন। নেতারা বলছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রেক্ষাগৃহে ছবি চালাতে চান। এ ক্ষেত্রে তারা প্রস্তুত রয়েছেন। দরকার শুধু সরকারি অনুমতি ও সহযোগিতা।
প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ছবি চালাতে হবে। এক সিটের ডানে বামে সামনে পিছনে চারটি সিট খালি রাখতে হবে। এ চারটি টিকেটের জন্য সরকারের কাছে ভর্তুকি চাচ্ছি। মানে একজন দর্শকের জন্য চারটি করে টিকেটের ভর্তুকি। তাহলেই আমরা প্রযোজকরা ছবি চালাতে পারবো।
তিনি বলেন, প্রেক্ষাগৃহে আসন সংখ্যা যদি ২০০ হয় তাহলে ৫০ জন দর্শক নিয়ে ছবি চালাতে হবে। স্বাস্থ্যবিধির এ বিষয়টি যদি নিশ্চিত করা যায়, তাহলেই দর্শক সিনেমা হলে আসবে। সঙ্গে সঙ্গে সরকার যদি ভর্তুকি দেয় তাহলেই সিনেমা হল খোলাটা অর্থবহ হবে। নইলে দর্শকও আসবে না, ভর্তুকি না পেলে প্রযোজকরাও লোকসানের কারণে নতুন সিনেমা হলে মুক্তিও দেবেন না।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা মিয়াঁ আলাউদ্দিন জানান, প্রেক্ষাগৃহ খোলার ব্যাপারে তারা সরকারি অনুমতির অপেক্ষায় আছেন। বলেন, চেয়েছিলাম ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সিনেমা হল খুলে দেয়া হোক। গত সপ্তাহে তথ্যমন্ত্রী দেশের বাইরে ছিলেন। তাই আমরা তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারিনি। তিনি সময় দিলেই এবার সিনেমা হল খোলা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সিনেমা হল বাঁচাতে সরকারি তরফ থেকে মোটা অংকের টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা মিয়াঁ আলাউদ্দিন বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে এ অর্থের যথাযথ বণ্টন হবে। এ টাকা শুধুমাত্র সিনেমা হলের উন্নয়নে ব্যয় হবে। আমি নিজেও ছবি প্রযোজনা করেছি। প্রযোজকরা যখন কোনো কিছু পান সেখানে সিনেমা হল মালিকদের জন্য বরাদ্দ থাকে না। তাই সরকারি এ বরাদ্দ শুধুমাত্র প্রদর্শকদের জন্য। সরকার চাইলে প্রযোজকদের জন্য আলাদা বরাদ্দ দিতে পারে।
সিনেমা হল মালিকরা সরকারি সহায়তা পেতে যাচ্ছে শোনা গেলেও প্রযোজকদের ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। এ ব্যাপারে প্রযোজক নেতা খসরু বলেন, সিনেমা হল চালুর পর সেখানে যথাযথ কনটেন্ট লাগবে। যতবেশি হল হবে ততবেশি ছবি লাগবে। তাই প্রযোজকদের দিকেও নজর দিতে হবে। স্বল্প শর্তে ঋণ দিতে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নজর দিবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।