স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ১৯৯৬ সালে অন্য একজনকে ‘ঠকিয়ে’ মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ফোনের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। ওই লাইসেন্স পেয়েই ইউনূস ‘বেঈমানী’ শুরু করেন।
বুধবার সংসদে একথা জানিয়েছেন সে সময়ের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই লোকটাকে (ইউনূসকে) মোবাইল টেলিফোনের লাইসেন্স দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই সংসদে দাঁড়িয়ে স্বীকার করছি, আমরা অন্যায় করেছিলাম। একজনকে ঠকিয়ে আমরা ইউনূস সাহেবকে লাইসেন্স দিয়েছিলাম।’
নাসিম বলেন, ‘চারজনের মধ্যে তিনজন মোবাইলের লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য ছিল। একজনকে ঠকিয়ে আমরা এই ইউনূস সাহেবকে লাইসেন্স দিয়েছিলাম। সেই লাইসেন্স বিক্রি করে উনি নোবেল প্রাইজ নিয়েছেন। লাইসেন্স পেয়েই তিনি বেইমানী করেছেন।’
এই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ‘আমরা বিনা পয়সায় রেলওয়ের অপটিক্যাল ফাইবার দিয়েছিলাম। তা দিয়ে তিনি গ্রামীণ ফোনের লাইন করেছিলেন। আমরা জানতাম না তার মধ্যে এসব ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে।’
এদিন সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ (বিআইডিএ) শতভাগ বিদেশী ও যৌথ বিনিয়োগের ১ হাজার ৩৭৬টি প্রকল্পের নিবন্ধন প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, ‘সকল নিবন্ধিত শতভাগ বিদেশী এবং যৌথ শিল্প প্রতিষ্ঠানের এক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার।২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে এই নিবন্ধন প্রদান করা হয় এবং এই সরকারের সময়েই বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড বিলুপ্ত করে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন সহযোগে বিআইডিএ গঠন করা হয়।’
সরকারি দলের সদস্য কামরুল আশরাফ খানের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।