বল হাতে দুই উইকেট, ব্যাট হাতে অপরাজিত ৬১। নাসির হোসেনের আরেকটি দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে নাসিরের দল।
আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে ফিরেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে জয়ের ধারায় ফেরান দলকে। এবার দেখালেন অলরাউন্ড নৈপুণ্য। নেতৃত্বের পাশাপাশি ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত সময় কাটছে নাসিরের। হয়েছেন ম্যাচসেরা। লিগে খেলা সবশেষ তিন ম্যাচেই সেরা হলেন তিনি। করলেন দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটি।
এতে ১৪ ম্যাচে ১১ জয়ে আবাহনীর সমান ২২ পয়েন্ট হল গাজীর। শুক্রবার বিকেএসপিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল দুটি মুখোমুখি হবে চতুর্থ রাউন্ডের লড়াইয়ে। সেখানে জয়ী দলই হবে শিরোপার অন্যতম দাবিদার।
মঙ্গলবার বৃষ্টির কারণে রিজার্ভ ডে’তে গড়ায় গাজী ও প্রাইমদের মধ্যকার ম্যাচটি। বুধবারও বৃষ্টি হলে ৪৩ ওভারে নেমে আসে ম্যাচ। গাজীর বোলারদের তোপে সেটিও পুরোপুরি খেলতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। ৩৯.১ ওভারে ১৭৩ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন শানাজ আহমেদ। জাকির হাসান করেন ৪৭ রান। সমান ২০ রান করে আসে আসিফ আহমেদ ও তাইবুর পারভেজের ব্যাটে।
আবু হায়দার রনি ও গুরকিরিত সিং নেন ৩টি করে উইকেট। দুটি উইকেট নিয়েছেন নাসির হোসেন। সোহরাওয়ার্দী শুভ নিয়েছেন একটি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ৩৮.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গাজী। ৬৪ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক নাসির। জয় থেকে যখন ৯ রান দূরে দল তখন রায়হানউদ্দিনের ওভারটিতে টানা তিন চার মেরে খেলা শেষ করেন তিনি। যার প্রথমটি স্ট্রেইট ড্রাইভে, পরের দুটি কাভার ড্রাইভে সীমানাছাড়া করেন।
বাকিদের মধ্যে ওপেনার এনামুল হক বিজয় ৫২ বলে তিন ছয়ে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে জয়ের ভীত গড়ে দেন। মুমিনুল হক ৩৩ ও নাদিফ চৌধুরী ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৪ রান আসে মুনিম শাহরিয়ারের ব্যাট থেকে।
নাহিদুল ইসলাম নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাজমুল অপু, আল আমিন হোসেন ও তাইবুর পারভেজ।