‘মন আমার দেহ ঘরি সন্ধান করি’, ‘স্কুল খুইলাছে’সহ একের পর এক বাজছে বাউল গান, লোকগান। মঞ্চের সামনে জটলা পাকিয়ে নাচছেন দর্শক। বৈশাখের তীব্র গরম কাবু করতে পারেনি শিল্পী-শ্রোতাদের। রাজধানীর শাহবাগের ভাসানী সড়কে শিশু পার্কের সামনে নারকেল বীথি চত্বরে ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠি আয়োজন করে বর্ষবরণ ও প্রভাতী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উদ্বোধন পর্বে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, অভিনেতা এটিএম সামছুজ্জামান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস প্রমুখ।
এবার চারজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এবার সংবর্ধনা দেওয়া হয়, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রর কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, কণ্ঠযোদ্ধা উমা খান, গীতিকার ফকরে আলম ও কবি নাসির আহদেমকে।
এটিএম সামছুজ্জামান বলেন, ‘জোড়দার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই একদিন বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ধনি রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
আয়োজন নিয়ে ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠির সভাপতি ফকির আলমগীর বলেন, ‘এবারের আয়োজন সম্পূর্ণভাবে স্বার্থক। যত প্রতিকুলতা ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছিল, তল্লাশি কড়াকড়ির কারণে অনেক মানুষ আসতে পারেনি। তারপরও দলে দলে সাংস্কৃতিপ্রেমীরা যোগদান করেছেন।’
ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠির ৩৪তম এই আয়োজন উৎস্বর্গ করা হয় সচ্যসাচি লেখক সৈয়দ শামসুল হক, কবি শহীদ কাদরী, মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন ও কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্যকে।