ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল চিশতীর (মাহবুবুল হক চিশতী) জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুল খারিজ করে রায় দেন।
আদালতে তার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আজকের এই রায়ের ফলে বাবুল চিশতীর জামিন মিলল না বলে জানান আইজীবীরা।
এর আগে বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ কেন বাবুল চিশতীকে জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। সে রুলই আজ খারিজ করে করে দেন আদালত।
২৯ মে বাবুল চিশতীর জামিন আবেদনের উপর শুনানি পর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লা তার জামিন আবেদনটি নাকচ করে দেন। এর বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে রিট করেছিলেন বাবুল চিশতী।
এর আগে ১০ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে বাবুল চিশতীকে গ্রেপ্তার করে দুদক। এর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা না করে বাবুল চিশতী ব্যাংকটির গুলশান শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা ও উত্তোলন করেন।
আর বিভিন্ন সময়ে বাবুল চিশতী তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় থাকা মোট ২৫টি হিসাবে অর্থ নগদ ও পে অর্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন করেছেন।
২০১৩ সালের ৩ জুন চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ফারমার্স ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়।