চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঋণ খেলাপিদের সুযোগের সার্কুলারে আরো দুই মাসের স্থিতাবস্থা

ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের উপর স্থিতাবস্থা আরো দুই মাস বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এ আদেশের ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা ওই সার্কুলারের কার্যকারিতা আরো দুই মাস থাকছে না বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

হাইকোর্ট তার আদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকে আর্থিক দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা রোধে এবং এ বিষয়ে কমিশন গঠন প্রশ্নে জারি করা রুলের জবাব আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দুই সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দিতে বলেছেন।

এ রিট মামলায় ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) পক্ষভুক্ত হতে পারবে কিনা সে আবেদনের উপর রোববার শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও আইনজীবী মনিরুজ্জামান।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলারটির বিষয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেছিলেন ‘২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলের যে সার্কুলার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটা হচ্ছে ঋণ খেলাপিদেরকে নতুন করে একটা সুযোগ দেওয়া। যেখানে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ খেলাপিরা ‘খেলাপির’ হাত থেকে মুক্তি পাবে, সিআইবিতে তাদের নাম থাকবে না। তখন নতুন করে হাজার হাজার কোটি টাকা তারা আবার ঋণ নিয়ে যাবে। এতে ব্যাংকের মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারটি স্থগিত চেয়ে করা সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২১ মে হাইকোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের উপর স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দেন। আদেশের সময় হাইকোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলারকে ‘দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

সেই সাথে আদালত তার আদেশে ঋণখেলাপিদের তালিকা, কী পরিমাণ ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়েছে তা, এবং ঋণের সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে অনিয়ম বন্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার তথ্য ২৪ জুনের মধ্যে দাখিল করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী আজ হাইকোর্টে ঋণখেলাপিদের তথ্য দেয় বাংলাদেশ ব্যংক।

যেখানে ১০ হাজার ৪৭৬ টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে এক লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণসহ মোট দুই লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণের তথ্য জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।