বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। পৃথিবী একপ্রকার স্তব্ধ। তবে চলতি মাস থেকে এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে আশাবাদী। এক্ষেত্রে তারা নিয়ে আসছে নতুন স্বাস্থ্যবিধি। এর মধ্যে অন্যতম বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, যাত্রী হ্রাস, নিজস্ব পানীয় বহনের অনুমতি।
এরই মধ্যে ভাইরাসের বিস্তারোধে কয়েকটি এয়ারলাইন্স যাত্রীদের মাস্ক পরিধান করে বিমানে উঠতে বলা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক এয়ারলাইন্স যাত্রী এবং কেবিনক্রু উভয়ের নতুন স্বাস্থ্য ও সুরক্ষানীতি নিয়ে এসেছে। যেখানে মাস্ক পরা বাধ্যতমূলক। বিশ্বের অন্যান্য এয়ারলাইন্সও নতুন করে ফ্লাইট চালু করার সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করছে।
মার্কিন বিমান সংস্থা ডেল্টা জানিয়েছে, সোমবার থেকে যাত্রীদের চেক-ইন এরিয়া, প্রিমিয়াম লাউঞ্জ, বোর্ডিং গেট এরিয়া এবং পুরো বিমানে মাস্ক কিংবা অন্য কোনো মাস্ক পরিধান করতে হবে।
আমেরিকান এয়ারলাইন্স এবং ইউনাইটেডও জানিয়েছে যে, তারা যাত্রী এবং কেবিনক্রু উভয়ের জন্য মাস্ক পরিধান বিধি চালু করছে।
আমেরিকান এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র কার্ট স্ট্যাচে বলছিলেন, আমাদের গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ যাত্রা নিশ্চিত করতে চাই। নতুন করে ফ্লাইট চালুর সময় আমরা সকলের সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত ভ্রমণ নিশ্চিত করার ব্যাপারে আশাবাদী।
ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র ম্যাডি কিং বলেছেন, যাত্রীদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে এবং যাত্রীদের আমরা বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করবো।
মাস্ক পরা ছাড়াও অনেক বিমানের জীবাণুমুক্ত করতে কম যাত্রী বহন এবং কোলাহল হ্রাসের পদক্ষেপ নিচ্ছে। কোলাহল হ্রাসে যাত্রীদের নিজেদের খাবার ও পানীয় বহনেরও সুযোগ দেয়ার কথা ভাবছে বিমান সংস্থাগুলো, যার অনুমতি আগে ছিলো না।
আবার কিছু এয়ারলাইন্স এখনো মাস্ক পরা বাধ্যতামূল করার কথা ভাবেনি। যেমন কান্তাস বলছে যে, মাস্ক পরার কোনো প্রয়োজন নেই। এই বিষয়ে এখনো সরকারি বা এয়ারলাইন্সের কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়নি।