চারদিন আগে এই অস্ট্রিয়ার কাছে ২-১ গোলে হারের স্বাদ পেয়েছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি। সেই অস্ট্রিয়াকে উড়িয়েই রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষধাপের প্রস্তুতি সারল ব্রাজিল। বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া ইউরোপের দলটির বিপক্ষে নেইমার-কৌতিনহোদের জয় ৩-০ গোলের।
রোববার লন্ডনে ব্রাজিলের শুরুটা ছিল সাবধানী। পায়ে পায়ে বল রেখে হঠাৎ আক্রমণ। নেইমার ছিলেন শুরুর একাদশেই। ১৮ মিনিটে অস্ট্রিয়ার জাল বরাবর শটও নিলেন। জোর না থাকায় সেটি আটকে গেল প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের হাতে।
খানিক পরই ব্রাজিলের পরীক্ষা নিয়েছে অস্ট্রিয়া। ২২ মিনিটে আরনাতুবিচের ভলি ব্রাজিলের গোলবার কাঁপিয়ে চলে যায় মাঠের বাইরে।
সেখান থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে ব্রাজিল। ২৫ মিনিটে ফিলিপে কৌতিনহোর মাটি কামড়ানো শট অল্পের জন্য খুঁজে পায়নি লক্ষ্য। ৩৫ মিনিটে পাউলিনহোর শট কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন অস্ট্রিয়ান গোলরক্ষক। সেই কর্নার থেকেই সাফল্যের খাতা খোলে ব্রাজিলিয়ানদের।
কর্নার থেকে শট নেন নেইমার। উড়ে আসা বলে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া মার্সেলোর বুলেটগতির শট প্রতিহত হলেও ফাঁকায় বল পেয়ে যান গ্যাব্রিয়েল জেসাস। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে ম্যানসিটি ফরোয়ার্ডের নেয়া কোনাকুনি শট জালে জড়ালে জেসাস। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে এক ঝলকেই বদলে দিয়েছিলেন ম্যাচ। নেইমার অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ৬৩ মিনিটে আবারও দেখান জাদু। প্রথমে পাউলিনহোর ফ্লিক হাঁটু ছুঁয়ে মাটিতে নামান, পর অস্ট্রিয়ান তিন খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে জাল খুঁজে নেন। তাতে ব্রাজিল ব্যবধান দ্বিগুন করে।
এই গোলে পেলে ও রোনাল্ডোর পর ব্রাজিলের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ঠাঁই পেলেন নেইমার। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে তার গোল সংখ্যা এখন ৫৫।
নেইমারের গোলের ছয় মিনিট পর সেলেসাওদের তৃতীয় সাফল্যটি এসেছে ফিলিপে কৌতিনহোর পা থেকে। পুরো ম্যাচেই দারুণ খেলা বার্সা ফরোয়ার্ড ৬৯ মিনিটে প্রায় একক নৈপুণ্যে এগিয়ে দেন দলকে।
ম্যাচের ৭৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন কৌতিনহো। সে দফায় তার শট ফিরে এসেছে বারে লেগে।
ব্রাজিলের ব্যবধান বাড়তে পারতো আরও। ৮২ মিনিটে কৌতিনহোর বদলি হয়ে নামা ফিরমিনোর দারুণ এক শট অস্ট্রিয়ান গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে ৩ গোলেই প্রস্তুতি শেষ করতে হয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
রাত পোহালেই রাশিয়াগামী বিমানে চাপবেন নেইমাররা। ১৭ জুন সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ মিশন। গ্রুপ ‘ই’ থেকে সেলেসাওদের বাকী প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা ও সার্বিয়া।