ডাগআউটে ছিলেন না করোনা আক্রান্ত কোচ পেপ গার্দিওলা, মাঝমাঠের তারকা ফিল ফোডেনকেও পায়নি ম্যানসিটি। রুবেন ডিয়াস, ইকাই গুন্ডোগান, গ্যাব্রিয়েল জেসাস, গ্রিলিশদের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছিলেন গার্দিওলা। প্রতিদানও দিয়েছেন তারা। সহজ জয়ে দলকে নিয়ে গেছেন আসরের চতুর্থ রাউন্ডে।
এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডে সুইনডন টাউনকে তাদের মাঠে ৪-১ গোলে হারিয়েছে সিটিজেনরা। গোল পেয়েছেন বের্নার্ডো সিলভা, গ্যাব্রিয়েল জেসাস, ইকাই গুন্ডোগান ও কোল পালর্মের। প্রতিপক্ষের একমাত্র গোলটি হ্যারি ম্যাককির্ডির।
কাগজে কলমে কিংবা শক্তিমত্তার বিচারে ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে অনেক পিছিয়ে সুইনডন টাউন। মাঠের খেলায়ও সেটার প্রতিফলন থাকল। স্বাগতিকরা ২২ শতাংশ বল দখলে রেখে ৪টি শটের ৩টি রাখতে পেরেছে লক্ষ্যে। বিপরীতে ১৬ শটের ৯টিকে লক্ষ্যে রেখেছিল অতিথিরা।
সুইনডন সবশেষ ২০০২ সালে ম্যানসিটির বিপক্ষে খেলেছিল। ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০২ সালের মাঝে ১১বারের দেখায় ১০বারই হেরেছে ক্লাবটি। এবারের দেখায় হারের পাশাপাশি লিগের চতুর্থ রাউন্ডে যাওয়ারও অপেক্ষা বাড়ল সুইনডনের।
ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করা ম্যানসিটি প্রথম গোল পায় ১৪ মিনিটে। পালর্মেরের বাড়ানো ক্রসে বলকে দারুণভাবে জালে জড়ান বের্নার্ডো সিলভা। সবশেষ ১১ এফএ কাপ ম্যাচে পর্তুগিজ স্ট্রাইকারের দশম গোল।
১৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে দেয়ার দারুণ সুযোগ আসে সিলভার কাছে। তার হেড লক্ষ্যে ছিল না। ২৮ মিনিটে দারুণ এক গোলে ব্যবধান বাড়ায় সিটিজেনরা। ডি ব্রুইনের পাস সফলভাবে জালে বল জড়ান গ্যাব্রিয়েল জেসাস।
দুই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতির পর আক্রমণে ধার বাড়ায় সিটি। দারুণ কিছু আক্রমণে নাজেহাল হয়ে পড়ে সুইনডন রক্ষণ। আক্রমণের ধারাবাহিকতায় ৬০ মিনিটে লিড বাড়িয়ে নেন গুন্ডোগান।
পরের মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ানোর বড় সুযোগ আসে ম্যানসিটির। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন জেসাস।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে প্রথম গোল পায় স্বাগতিকরা। পেনাল্টি সীমানায় নিচের দিকে বাড়ানো উইলিয়ামেস ক্রস কারিকুরিতে জালে পাঠান ম্যাককির্ডি।
চতুর্থ রাউন্ড নিশ্চিত হওয়ার পর সুইনডনের জালে শেষ পেরেকটি ঠোকেন কোল পালর্মের। শেষ সময়ে আরও কিছু আক্রমণ গড়লেও সফল হয়নি কোনো দলই।