সবাই সর্বনামের গান শুনছিলেন। অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, নাট্যব্যক্তিত্ব ম.হামিদসহ দেশি-বিদেশী অতিথি সবাই। সবাই ১৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অতিথি। কিন্তু তিনি গভীর মনোযোগ দিয়ে কি যেন লিখছিলেন! নজর কাড়ে বিষয়টি। এগিয়ে তার সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নিতে প্রথম দিকে কিছুটা চমকে উঠে তারপর সাড়া দেন। কথা বলেন চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে। তিনি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
‘এটা আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস কোথাও কিছু বলার আগে পয়েন্ট নোট করা। সেই ছাত্র রাজনীতির সময় থেকে। বিশেষ করে বুয়েটে যখন রাজনীতি করতাম তখন থেকে এটি অভ্যাস হয়ে যায়। আজ কিছুটা ঘাটতি ছিল প্রস্তুতির। তাই চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিলাম। আর কিছু নোট করে রাখছিলাম।’
ভারতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব হলো কিন্তু এদেশের চলচ্চিত্র এবং বেসরকারী টেলিভিশনগুলোর ভারতে বাঁধাহীন প্রচার কি হবেনা প্রশ্নে তিনি স্মিত হাস্যে বলেন, ওখানকার ব্যবসায়িক একটা বাঁধা রয়েছে। ফি’রমাত্রাটা অত্যাধিক তবে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।
এখানে বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেল প্রচারে ফি’ কেন বাড়ানো হচ্ছেনা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাড়ানো হয়েছে। তবে সেটা কোটির ঘরে গেলে অনেক টেলিভিশনের প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আপনারাই বলবেন মতপ্রকাশে সরকার বাঁধা দিচ্ছে। সবসময় সব কিছু সহজ মনে হলেও সহজ নয়। বহুমাত্রিক বাস্তবতা থাকে।
কথোপকথনে উঠে আসে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের বিষয়। দৃঢ় কণ্ঠে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওটা পাশ হয়ে গেছে। এখন ছাপার কাজ চলছে। কিছু ঝামেলা ছিল। যেমন পরিচালক যৌথ হতে হবে। এটা কেমন কথা। এদিকে বা ওদিকের, একজন পরিচালক থাকতেই পারে। এরকম আরো বেশ কিছু বিষয়সহ সবার ভাবনাকে আমলে নিয়ে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ নীতি তৈরী হয়েছে।
অতিথিদের ডাক পড়েছে মঞ্চে। উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে হবে। ইতিমধ্যে তার পাশে বসা অন্যরা উঠে গিয়ে আসন নিয়েছেন। তিনিও মঞ্চে তার নির্ধারিত আসন নিয়েছেন। তার বক্তৃতা পর্বে দেখা যায় তিনি তার নোট করা কাগজ নিয়ে বক্তৃতা করছেন। বিভিন্ন বিষয়কে স্পর্শ করে যাওয়া সে বক্তৃতা। তথ্যসমৃদ্ধ।
ছবি : জাকির সবুজ