উৎসব মুখর পরিবেশে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট উৎসব শেষ হয় বিকাল ৪টায়। গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের আহ্বানে স্বতস্ফুর্তভাবে সাড়া দিয়েছে ভোটাররা। কিছু অভিযোগ থাকলেও সুষ্ঠুভাবে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে ভোট গণনা, আর ফলাফলের ঘোষণার অপেক্ষা।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে লড়াই হয় মূলত নৌকা আর ধানের শীষে। নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন করতে পুরো নগরীতে দায়িত্ব পালন করে ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবধরনের আয়োজন নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বিঘ্নে ভোট উৎসব শেষ করতে প্রশাসনের প্রতি কঠোর নির্দেশ ছিলো ইসির।
মূলত নৌকা আর ধানের শীষের মধ্যে লড়াই হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছে ২০১ জন প্রার্থী। ৭টি রাজনৈতিক দলের ৭ জন মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর প্রার্থী ৫৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ৩৮ জন।
নির্বাচনকে সুষ্ঠু করা সব পক্ষের প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে জানান নির্বাচন কমিশন।
পুলিশ, র্যাব, আনসার ভিডিপি ও কোস্টগার্ডসহ প্রায় ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও ছিলেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা, থাকেন ৪ হাজার ৮৫ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।
নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ এবং বন্দর থানা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। ভোটকেন্দ্র ১৭৪টি। ভোটকক্ষ ১৩৪টি। ১৭৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করে ইসি।
প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৭ জন সদস্য কেন্দ্রের ভেতরে পাহারা দেয়। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কেন্দ্রের বাইরে থাকে র্যাব-পুলিশসহ আনসার বাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্স।
ছবি: তানভীর আশিক