চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

উবার-পাঠাওসহ ৭ রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত হওয়ার আবেদন

সব রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত হতে ১ মাসের বেঁধে দেওয়া সময় শেষে ৭টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন পেয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

বিআরটিএ’র কাছে রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার আবেদন করেছে: পাঠাও লিমিটেড, সহজ লিমিটেড, চালডাল লিমিটেড, আকাশ টেকনোলজি লিমিটেড, গোল্ডেন রিং লিমিটেড, ও ভাই লিমিটেড এবং উবার লিমিটেড।

এই প্রতিষ্ঠানগুলো রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেছে বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন বিআরটিএ’র প্রকৌশল বিভাগের সহকারি পরিচালক ফারুক আহমেদ।

এখন প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাইসহ সার্বিক প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত করার পর সমন্বিতভাবে মোটরযান মালিক-চালকদের তালিভুক্ত করা হবে জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন: প্রথমে রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলো বিআরটিএ’র এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট নিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত হলে এসব প্রতিষ্ঠানের আওতায় থাকা মোটরযান মালিক-চালকদের সমন্বিতভাবে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট দেয়া হবে।

রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭ অনুযায়ী, আবেদন করা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটের জন্য বিআরটিএ-কে ১ লাখ টাকা ফি দিতে হবে। মোটরযান এনলিস্টমেন্টের জন্য প্রতিবছর মোটরসাইকেল প্রতি ৫’শ টাকা এবং অন্যান্য মোটরযানের জন্য ১ হাজার টাকা ফি দিতে হবে।

এতো এতো রাইডশেয়ারিং অ্যাপের কথা নানা সময়ে গণমাধ্যমে বিশেষ করে অনলাইন পোর্টালগুলোতে প্রকাশিত হলেও মাত্র ৭টি প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত হওয়াকে স্বাভাবিক বলেই মনে করেন বিআরটিএ’র এই কর্মকর্তা।

তার মতে, ২২ ফেব্রুয়ারি গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়া রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালায় রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে যোগ্যতার কয়েকটি শর্ত আছে। এসবের মধ্যে একটি হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের নূন্যতম মোটরযান সংখ্যা। একটি প্রতিষ্ঠানকে রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট নিতে হলে প্রতিষ্ঠানের আওতায় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এলাকায় ১’শ, চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় ৫০টি এবং দেশের অন্যান্য মহানগর এলাকায় ২০টি মোটরযান থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, দেশে রাইড শেয়ারিংকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এ বছরের ১৫ জানুয়ারি রাইড শেয়ারিং নীতিমালা-২০১৭ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়। ২২ ফেব্রুয়ারি এই নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয় এবং ৮ মার্চ এই নীতিমালা কার্যকর হয়। এরপর ১৯ এপ্রিল জাতীয় দৈনিকগুলোতে রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠান ও মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটের আবেদনের জন্য ১ মাসের সময় বেঁধে দেয় বিআরটিএ।