রাজধানীর উত্তরায় অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা ‘উবার’ এর চালক আরমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রহস্য উদঘাটনে আলোর মুখ দেখছে মহানগর গোয়েন্দো (ডিবি) পুলিশ।
তদন্তকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আসামিদের শনাক্ত করতে পেরেছে। আসামিরা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যেকোনো সময় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাত ২টায় রাজধানীর উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কের ৫২ নম্বর বাড়ির সামনে একটি গাড়ির (ঢাকা মেট্রো- গ-২৫-৪৫৪৫) ভেতর থেকে উবার চালক মো. আরমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরমান পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার ফতে মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা। মিরপুর-১১ নম্বরের ১২ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর লেনের ১৬ নম্বর বাড়িতে স্ত্রী রাবেয়া খাতুন ও দুই সন্তান ছেলে নাঈম (৯) ও এক বছর বয়সের মেয়ে আফরিন আক্তারকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২১ মিনিটে উবারের কল পেয়ে রামপুরা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে যাত্রী নিয়ে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে এসেছিলেন আরমান।
গত শুক্রবার উত্তরা পশ্চিম থানায় নিহতের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য সোমবার গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার বিকেলে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (উত্তর) বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: উবার গাড়ি চালকের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমরা আলোর মুখ দেখেছি, আমদের কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়েছে আমরা অন্ধকারে নেই।
‘উবার চালক আরমান হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত ছিল, হত্যাকাণ্ডটি কখন সংগঠিত হয়েছে এসব বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, এখন তাদের অবস্থানটা জেনে গ্রেপ্তার করাটাই বাকি আছে।’
তিনি বলেন, আমরা আসামিদের শনাক্ত করতে পেরেছি, তারা কেন হত্যাকাণ্ডটি পরিচালনা করেছে তাও জানতে সক্ষম হয়েছি। আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাই এক জায়গায় তারা অবস্থান করছে না।
আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে জানিয়ে মশিউর রহমান বলেন: আসামিদের ধরতে বেশ কয়েক জায়গায় অভিযান চালিয়েছি কিন্তু সফল হইনি, আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যেকোনো সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি আরো জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের পর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সবকিছু গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হবে।
উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্র জানায় দুর্বৃত্তরা প্রাইভেটকারটি ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে উবার চালককে হত্যা করতে পারে।
নিহতের স্ত্রী রাবেয়া খানমের দাবি, আরমানের কোনো শত্রু ছিল না। দেড় বছর ধরে তিনি ভাড়ায় গাড়ি চালাতেন। বৃহস্পতিবার রাতে গাড়ি জমা দিয়ে নারায়ণগঞ্জে ছোট বোনের বিয়েতে তার যাওয়ার কথা ছিল।