উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে সুযোগের সমতা সৃষ্টি করতে হবে বলে মত দিয়েছেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এ সমতা ও অসমতা শীর্ষক বিশেষ সেমিনারের বক্তারা।
বুধবার পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত ওই সেমিনারে বক্তরা এ কথা বলেন।
সেমিনারে মূল বক্তব্যে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ বিভাগের ভূতপূর্ব পরিচালক ড. সেলিম জাহান বলেন: সমাজে বৈচিত্র্য থাকবে, তবে তা যদি বৈষম্য সৃষ্টি করে সেটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা মানবাধিকার লংঘনের অন্যতম পন্থা। অসমতা দেশ ও সমাজের উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও সামাজিক বন্ধন বিরোধী বিভাজন সৃষ্টি করে।
ড. জাহান তার বক্তব্যে তিনটি ক্ষেত্রে অসমতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন শিক্ষার সুযোগের ক্ষেত্রে বৈষম্য, নারী-পুরুষে ভেদাভেদ এবং গ্রাম ও শহরের সুযোগ সুবিধার মধ্যে পার্থক্য।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বৈষম্য দূরীকরণ ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে এবং সেই লক্ষ্যে সকলকে কাজ করতে হবে।
পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ।
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণসহ পিকেএসএফ-এর সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।