ট্রাফিক পুলিশ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উন্নত বিশ্বের মতো আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম।
শনিবার রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে ‘টাফিক সচেতনতামূলক কর্মসূচী’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা জানান।
মীর রেজাউল আলম বলেন, উন্নত বিশ্বের মতো আমরাও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলব। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তা করা সম্ভব হবে।
আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারপরেও এসব মাধ্যমে রাজধানীর মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ চলাচলের সুযোগ পাবে। বাকি ৮৫ শতাংশের মধ্যে কিছু সংখ্যক প্রাইভেটকার বা মোটরসাইকেলে চলাচল করলেও অধিকাংশই গণপরিবহনে চলাচল করবে। তাই গণপরিবহনের শৃঙ্খলা সবচেয়ে জরুরী।
সড়কে শৃঙ্খল পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করেছি, এখন ট্রাফিক সচেতনতামূলক মাস চলছে। এরপর আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কর্মসূচী নিয়ে আসব।
সমাবেশে উপস্থিত চালক-শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা বলেন, সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে চালক-শ্রমিক থেকে শুরু করে পথচারী পর্যন্ত সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে। সবার স্বার্থে সবাইকে আইন মানা জরুরী। মালিক ও চালক-শ্রমিকদের দায়বদ্ধতা বেশি, কারণ তাদের মাধ্যমে পরিবহন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ট্রাফিক উত্তর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মোসলেউদ্দিন আহমেদ, ট্রাফিক উত্তরের উপ-কমিশনার (ডিসি) প্রবীর কুমার রায়, মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
বক্তারা চালক-শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। সমাবেশ শেষে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা ও চালক-শ্রমিকদের অংশগ্রহনে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।