১ অক্টোবর উনিশ বছরে পা দিচ্ছে চ্যানেল আই। উনিশের উচ্ছ্বাসে সামিল হতে চ্যানেল আই পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তারকারা। জনপ্রিয় নায়ক বাপ্পি চ্যানেল আইকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নিজের উনিশ বছর বয়সের স্মৃতিচারণও করলেন।
উনিশ বছরে চ্যানেল আই…
বাপ্পি: জন্মদিনে চ্যানেল আইকে শুভেচ্ছা জানাই। তারা ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’সহ প্রচুর ভালো প্রোগ্রাম করছে। ‘ক্ষুদে গানরাজ’সহ বিভিন্ন রিয়েলিটি শো’র মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিভাগুলোকে খুঁজে বের করে– এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এরকম প্রোগ্রামগুলো চ্যানেল আই আরও বেশি করে করুক।
চ্যানেল আইয়ে আপনার প্রিয় অনুষ্ঠান?
বাপ্পি: চ্যানেল আই লাল সবুজের চেতনাকে ধারণ করে পথ চলছে। বিশেষ করে তারা প্রতিভা খোঁজার যে শো গুলো করে সেগুলো আমার খুব ভালো লাগে। এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিভাবান মানুষগুলোকে সম্মানিত করে থাকে। বাঙালি ও বাংলাদেশের অনুভূতিটা পাই এ চ্যানেল দেখলে।
চ্যানেল আইয়ের প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা?
বাপ্পি: চ্যানেল আইয়ের তারকাকথন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। খুবই ভালো লেগেছে। আমার মনে হয় সবচেয়ে সুন্দর স্টুডিও চ্যানেল আইয়ের।
বাপ্পি চৌধুরীর উনিশ বছর বয়সটা কেমন ছিল?
বাপ্পি: উনিশ বছর বয়সে ইউনিভার্সিটি জীবন শুরু হয়। তখন ঢাকা টু নারায়ণগঞ্জ আপডাউন করতে হতো। পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতাম। আমি বলব, আমার উনিশ বছর বয়সটা খুব স্ট্রাগলিং ছিল। তখনো আমি ফিল্মে আসিনি। তবে চেষ্টা করছিলাম।
সেসময়ের চিন্তা-ভাবনা?
বাপ্পি: সেসময় ফিল্ম নিয়েই ভাবতাম। কারণ আমি তখনই জানতাম যে বাপ্পি চৌধুরী একদিন স্টার হবে (হা হা হা)। এমন স্বপ্নই দেখতাম। এই ভাবনার পেছনে একটা মজার কারণও আছে। আমার বাবা নারায়ণগঞ্জে খুব পরিচিত ছিলেন। তিনি সমাজসেবা করতেন। তো উনিশ বছরের আগে পর্যন্ত বাবার পরিচয়েই পরিচয় দিতাম। সেসময়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি বাবার পরিচয়ে পরিচয় দেব না, নিজের পরিচয় দেব। রাস্তায় হাঁটলে যেন মানুষ বলে ঐ যে বাপ্পি চৌধুরী যাচ্ছে। সে কারণেই ভাবতাম যে একদিন স্টার হতে হবে।