নৌ দুর্ঘটনার ২৯ ঘণ্টা পর নিমজ্জিত লঞ্চ মর্নিং বার্ড উদ্ধার না করেই কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। লঞ্চের ভেতর থেকে ডুবুরিরা আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
অনিবার্যকারণে উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে আসতে না পারায় ৫ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল সাড়ে দশটার দিকে বিআইডব্লিউটিএ’র টাগ বোট দিয়ে নিমজ্জিত লঞ্চটি টেনে তোলার চেষ্টা করে বিআইডব্লিটিএ ও ফায়ার সার্ভিস। দু’ঘণ্টা চেষ্টার পর উপরের দিকে জাগানো সম্ভব হয় লঞ্চটিকে। সেসময় বিআইডব্লিউটিএ”র প্রকৌশলীরা নিমজ্জিত লঞ্চটি ঘাটের কাছে টেনে নিয়ে আসেন।
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ দুর্ঘটনার ১৩ ঘণ্টা পর একজন যাত্রীর জীবিত উদ্ধার করা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ফায়ার সার্ভিস বলেছে ডুবুরিরা আগেই এ ধরনের আভাস পেয়েছিলেন।
দুপুরের দিকে নিমজ্জিত লঞ্চ থেকে আরও একজন পুরুষ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। এর কিছু পরে দুপুর দুইটার দিকে উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
দুর্ঘটনাকবলিত দুটি লঞ্চকে মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। ময়ূরী-২ লঞ্চের মালিক ও ৫ চালকসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে কেরানীগঞ্জ থানায়। দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চ দুটির কোনোটাতেই যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য লাইফ জ্যাকেট ছিল না।