মানসিক হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য নিয়মিত অন্য হাসপাতালে ভর্তির আগে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আদালতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশ।
মেঘালয়ের শিলং শহরের পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট বিবেক সিয়াম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন,‘তার (সালাহ উদ্দিন) আসার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। এখানে তিনি কি উদ্দেশ্যে এসেছেন, সেটা তাকে জেরা করার পর বোঝা যাবে। কিন্তু এখন তিনি অসুস্থ বলে তাকে জেরা করতে পারিনি।’
ওই কর্মকর্তা জানান, একজন ব্যক্তি উদভ্রান্তের মতো ঘুরছেন-এই খবর পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার শরীরে কোনো চোট বা আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
তবে সালাহ উদ্দিন আহমদ নিজেই তার হৃদরোগ ও লিভার সমস্যার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন বলেও জানান এসপি সিয়াম। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর তিনি গুছিয়ে দিতে পারছিলেন না। তাই তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে রাখা হয়েছে।’
সালাহ উদ্দিন আহমেদ সরকারি মানসিক হাসপাতাল ‘মেঘালয় ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ এন্ড নিউরো সায়েন্সেস (মিনহ্যানস)-এ ভর্তি আছেন।
মেঘালয়ের স্থানীয় পত্রিকা ‘শিলং টাইমস’ও জানিয়েছে, সালাহ উদ্দিন আহমেদ আটক হওয়ার পর তাকে মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওই হাসপাতাল থেকে দুপুরে সালাহ উদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদকে ফোন করে দু’জনের মধ্যে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়।
নিরাপত্তাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, ১০ মার্চ রাতে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়ির দোতলা থেকে কয়েক ব্যক্তি বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ধরে নিয়ে যায়। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা-বাহিনীকে দায়ী করে আসছিলো তার পরিবার।