চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

উত্তাল ৬ মার্চ

বাঙালীর গর্বের, গৌরবের মাস মার্চ। এই মাসেই ঘোষিত হয় বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালী ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির মরনপণ লড়াইয়ে।

একাত্তর, ৬ মার্চ। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে বাংলাদেশের বিক্ষুব্ধ জনসাধারণকে দুষ্কৃতকারী আখ্যা দিয়ে ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। বস্তুতপক্ষে যা পুরোপুরো ছিলো একটা ভাওতা মাত্র।

বঙ্গবন্ধু আর একদিন পর কি বলেন, তা জানতে অধীর অপেক্ষায় পুরো জাতি। শুধু ঢাকা নয়, আন্দোলনের জোয়ারে ভাসছে সারা বাংলা।   

তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিদ্ধান্ত হলো ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হবার জন্য। তখন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলো। তারা ৩রা মার্চ পল্টনে জনসভা করলো। ঐ জনসভায় বঙ্গবন্ধু গেলেন। বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করা হলো, সর্বাধিনায়ক হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করা হলো। তিনি বক্তৃতা করলেন। ঘোষণা দিলেন ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বক্তৃতা করবেন।  

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শোনা এবং আন্দোলনের গতি প্রকৃতি জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় বাংলার মানুষ আর আন্তর্জাতিক মহল। সারাদেশ থেকে ঢাকায় আসতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। ঢাকায় যারা আসতে পারেননি তারা আশায় ছিলেন বেতারে সরাসরি ভাষণ শোনার জন্য।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির উদ্দেশ্যে যেই বক্তৃতার মধ্য দিয়ে নিরস্ত্র বাঙ্গালী জাতি স্বশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হলো। অর্থাৎ আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিলো পহেলা মার্চ। স্মৃতির পাতায় ১৯৭১ এর পহেলা মার্চ যখন ভেসে উঠে তখন দেখি আমরা কি করে ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ, বাংলার জনগণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একই মোহনায় দাড়িয়েছিলাম। একই কাতারে তারা সংঘবদ্ধ হয়েছিলো।

সবকিছুই বন্ধ, ঠিক এই সময় ইয়াহিয়ার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান মানতে পারেনি বাঙ্গালী। প্রতিবাদে ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় বের হয় বিাক্ষোভ মিছিল, পল্টনে অলি আহামদের জনসভা, আর মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে গনসমাবেশ।