কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার ৯ উপজেলায় বন্যা দুর্গত হয়ে পড়েছে প্রায় ৮ লক্ষাধিক মানুষ।
শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে চিলমারী ও রৌমারী উপজেলা শহরের বিভিন্ন অফিস, স্থাপনা, ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ রাস্তা-ঘাট। নদ-নদীর অববাহিকায় ৪ শতাধিক চরাঞ্চলের ঘর-বাড়ি তলিয়ে থাকায় কিছু পরিবার নৌকায় বসবাস করলেও বেশির ভাগ পরিবার ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বিপদসীমার ১২১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল থেকে ৭ সে.মি পানি কমলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ।
বাঁধে আশ্রিত বানভাসী মানুষগুলো চরম দুর্ভোগে গবাদি পশু,হাঁস-মুরগী নিয়ে নির্ঘুম কাটছে রাত। পানি বৃদ্ধির কারণে এখনও বন্ধ রয়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সরকারী ও বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে পড়েছেন বন্যা দুর্গত মানুষেরা। বন্যার পানিতে ডুবে এ পর্যন্ত ৯ শিশুসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।