উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। অক্সফোর্ড কিংবা ক্যামব্রিজের মতো প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশ যুক্তরাজ্যের অবস্থান তাই এখন তৃতীয়। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যথারীতি তাদের প্রথম স্থান ধরে রেখেছে।
কিছুদিন আগেও উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেরা শিক্ষার্থীদের তালিকায় প্রথম দিকে ছিল যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্য। তবে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের এক গবেষনায় বলা হচ্ছে যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ এখন অস্ট্রেলিয়ায়।
তবে যুক্তরাজ্যের তালিকায় পিছিয়ে পড়ায় হতাশ ব্রিটিশ কাউন্সিল। মূলত এই প্রতিষ্ঠানটিই বিশ্বব্যাপী যুক্তরাজ্যের শিক্ষা ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে থাকে। তাদের মতে, যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর যে নীতিমালা আছে তা পুনরায় ভেবে দেখা উচিত।
তবে গবেষণা দলের প্রফেসর সায়মন বলেন, কানাডাতেও ইদানিং শিক্ষার্থীরা অধিক হারে যাচ্ছে। তাই যুক্তরাজ্যের তৃতীয় স্থান ধরে রাখাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
বিশেষ করে ২০১৬ সালের পর ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে চলে যাবার পর বা ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে এ অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেছে। তিন বছর আগেও প্রতি বছর ১ লক্ষ ৩০ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা নিতে পাড়ি জমাতো যুক্তরাজ্যে। যা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে অনেক বেশি।
এক বিশ্লেষণে উঠে আসে, চলতি বছর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে প্রায় দুই হাজার কোটি পাউন্ড যুক্ত হয়েছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের উপর্জনে।এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সতর্ক করেছে যে ব্রেক্সিটের পর অভিবাসন আইন শিক্ষার্থীদের জন্য আরো সহজ হবে।
গবেষণার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে অধ্যাপক সাইমন বলেন, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ছাত্রদের সর্বশেষ পছন্দ বিবেচনা করে দেখা যায় উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যের চেয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সামনে এগিয়ে রেখেছেন তারা।
তিনি সর্তক করে বলেন বিদেশি শিক্ষার্থীদের বাজার ধরে রাখতে কানাডা বিভিন্ন অফার এবং স্কলারশিপ দিচ্ছে।তবে ২০১৮ সালের মোট বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এখনই প্রকাশ করছে না জাতিসংঘ।
কিন্তু ইউসিএল গবেষনায় দেখা যায়, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যকে পিছনে ফেলে অস্ট্রলিয়ায় উচ্চ শিক্ষার প্রবনতা যুক্তরাজ্যের জন্য এক প্রকার চ্যালেঞ্জ।