‘উগ্রবাদী’ ব্লগারদেরকেও আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, ব্লগার নিলয় হত্যা মামলার আলামত পরীক্ষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই-এর সহায়তা নেবে না পুলিশ।
মনিরুল বলেন, আমাদের ধারণা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরাই এ কাজ করেছ। হয়রত মোহাম্মদ (স:) ও ইসলাম সম্পর্কে অশ্লীল ভাষায় কথা বলে এবং তাদের যারা হত্যা করছে তারাও উগ্রবাদী। তাই যারা এই উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিন নিলয় নীল হত্যা মামলার নথিপত্র বুঝে পাওয়ার পর খিলগাঁওয়ে তার বাসা ও আশপাশের এলাকা ঘুরে এসেছে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত দল। তন্ন তন্ন করে আলামত খুঁজেছেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কয়েকজনকে।
তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বাসার সামনে রাখা হত্যাকারীদের বহনকারী অটোরিক্সার চালক ভেতর পর্যন্ত এসেছিলো। খুনিদের একজন তখন টিশার্ট দিয়ে রক্তমাখা ছুরি মুছে নিয়েছিলো। হত্যাকাণ্ডের আগে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে ঘোরাফেরাও করতে দেখেছে এলাকাবাসী।
হত্যাকাণ্ডের সময় খোয়া যায় নিলয়ের লেনোভো ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন। ল্যাপটপ-মোবাইল উদ্ধারের পাশাপাশি হত্যার কৃতিত্ব দাবি করে আনসার আল ইসলামের নামে ইমেইলের উৎস খোঁজার চেষ্টা করছে ডিবি।
তদন্তকারীদের দাবি, যে কোনো ডিএনএ পরীক্ষার নির্ভুল ফলাফল দিতে সক্ষম সিআইডির ডিএনএ ল্যাব।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এফবিআইয়ের ল্যাবে দিলে দীর্ঘ সময় লাগে। কেননা তাদের সিরিয়াল আসতেও অনেক সময় লাগে। সে কারণে সিআইডির যে ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে সেখানেই আমরা আলামতগুলো পরীক্ষা করবো।
ব্লগার অভিজিৎ হত্যা তদন্তে এখন ঢাকায় অবস্থান করা এফবিআই তদন্ত দল ব্লগার নীল হত্যাকাণ্ডের বিষয়েও গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছে। তবে এখনও পাওয়া যায় নি অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে সংগ্রহ করা বিভিন্ন আলমতের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট।