জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় লাগাতার কর্মসূচি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন বলছে, শিক্ষকদের একটি অংশ নতুন প্রজন্মের মধ্যে একমুখি উগ্রচিন্তা ঢুকিয়ে দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে। এবার চিহ্নিত হবেন তারা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবার কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে জঙ্গিবাদ ও উগ্রপন্থাবিরোধী মতবিনিময় সভা করবে। ২৩ জুলাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গেও এমন সভা হবে। ২৪ জুলাই সরকারি-বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে সভা করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আলিম ও ফাজেল মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক ২৭ জুলাই।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, অবশ্যই বিষয়টা সমগ্র জাতীর জন্য উদ্বেগের। আমরাও বিষয়টা নিয়ে উদ্বিগ্ন। যেহেতু দায়িত্বটা সুনির্দিষ্টভাবেই আমাদের তাই উদ্বেগটাও আমাদের বেশি। এভাবেই আমরা সবার কাছে কিছু ম্যাসেজ দিয়ে দিচ্ছি।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন বলছে, দেশকে অশান্ত করার জন্য যারা শিক্ষার্থীদের বেছে নিয়েছে শিক্ষকদের ছোট একটি অংশ তাদের পক্ষেই কাজ করছে।
ফেডারেশনের মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জাতীয় জীবনের এই সমস্যাটা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের মনে গেঁথে দেওয়া হয়। তাহলে সবচেয়ে ভালো হবে। এসব সংগঠনের বিস্তার কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। কোনো শিক্ষক যদি বিভ্রান্তিতে থাকে তাহলে তাদের সরে আসতে হবে। তারা সরে আসলেই সবার জীবন যেমন নিরাপদ হবে তেমন তার জীবনও ভালো হবে।
মাকসুদ কামাল মনে করেন, তরুণদের মধ্যে এখন যে অস্থিরতা চলছে তা দূর করে তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সরকারের নানা উদ্যোগের সঙ্গে অভিভাবকদেরও বড় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন।