কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর চারটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত সহস্রাধিক বসত ঘর পুড়ে গেছে। একটি ক্যাম্পের সবগুলো ঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও আগুন জ্বলছে। হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
শরণার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, সোমবার বিকাল ৩টায় উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সব ঘর পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
পরে আগুন ক্যাম্পটির লাগোয়া ৮-এইচ, ৯ ও ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান তিনি।
তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার।
সামছু-দৌজা বলেন, বাতাসের গতিবেগ বেশি হওয়ায় আগুন দ্রুত পার্শ্ববতী ক্যাম্পগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্যাম্পটির লাগোয়া আরো ৩টি ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত সহস্রাধিক বসত ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
তিনি বলেন, আগুন লাগার সাথে সাথে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক কর্মী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরাও আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেন।
অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া স্টেশনের দুইটি ইউনিটের পাশাপাশি টেকনাফের ২ টি, কক্সবাজারের ২ টি এবং রামুর ১ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ অব্যাহত রেখেছে।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট রামু সেনানিবাসের টিম, পুলিশ এপিবিএন এবং স্থানীয় গ্রামবাসী একসাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে।
বালুখালি ৮ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ তানজীম জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া স্টেশন টেকনাফ, রামু স্টেশন ও কক্সবাজার স্টেশনের ৫ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। সেনাবাহিনীর টিম পুলিশ এপিবিএন এর সদস্যরা ঘটনাস্হলে আসে।