উইঘুরদের ওপর গণহত্যার অভিযোগকে হাস্যকর, অযৌক্তিক ও সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছে চীন
রোববার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন।
চীনের বিরুদ্ধে মুসলিম জাতিগত উইঘুরদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। তাদের দাবি, উইঘুরদের ওপর চীনা আচরণ ‘গণহত্যা’।
বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণহত্যার অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, উইঘুরদের ওপর এখনো গণহত্যা চলছে। তাদেরকে ধ্বংস করতে চীনা দলীয় রাষ্ট্রের পরিকল্পিত চেষ্টা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। কিন্তু আমরা নীরব থাকব না।
এর কিছুদিন পর কানাডা থেকেও এমন অভিযোগ উঠে। কিছু দেশ এই অভিযোগে ২০২২ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য শীতকালিন অলিম্পিক গেমস বর্জনেরও আহ্বান জানিয়েছে।
তারই প্রেক্ষিতে আজ পশ্চিমা বিশ্বের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিলো চীন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পশ্চিমা রাজনীতিবিদরা শিনচিয়াং সম্পর্কে মিথ্যাচার করছে। চীন বলছে, বিশ্বের যেকোনো লোক সেখানে পরিদর্শন করতে পারেন। চীন তাদেরকে স্বাগত জানাবে। তারা দেখে যেতে পারেন।
তিনি বলেন, মূলত চীনের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গণহত্যার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর।
বিবিসি জানায়, চীনের শিনচিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের জন্য চীন পুনঃশিক্ষা শিবির চালু করেছে। যেখানে তাদেরকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করা হয়। এই শিবিরে উইঘুর নারীদের উপর জোরপূর্বক কাজে নিয়োগ করা ও পরিবার আর শিশুদের থেকে তাদেরকে আলাদা করার অভিযোগ উঠে।
বিবিসির বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যায়, নারীরা জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সাথে নিয়মতান্ত্রিক ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ করে বিবিসি। এর জন্য চীন বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ টেলিভিশনকে নিষিদ্ধও করে।
জাতিসংঘ জানায়, কমপক্ষে দশ মিলিয়ন মুসলিম সংখ্যালঘু লোক সেই সব শিবিরে রয়েছে। যাকে চীন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও উগ্রপন্থা নির্মূল করার প্রক্রিয়া বলে অভিহিত করে আসছে।