ভূত বিশ্বাস করুক আর না করুক ভূতের গল্প শুনতে সবাই পছন্দ করেন। যেন ভয়ের মধ্যেও এক ধরণের আনন্দ আছে। লোডশেডিংয়ের সময় কিংবা বৃষ্টিভেজা নির্জন রাতে ভূতের গল্প দারুণ জমে। অনেকে গল্প শুনে নয়, ভূতের গল্পের ছবি দেখে বেশি মজা পান। ভয়ংকর কোনো দৃশ্যে অন্যরকম রোমাঞ্চ অনুভব করেন। তাই বিশ্বব্যাপী ভূতের সিনেমা এত জনপ্রিয়।
ছোট থেকে বড় সব শ্রেণির দর্শকদের ভৌতিক সিনেমার প্রতি বিশেষ কৌতুহল রয়েছে। হলিউডে এ যাবৎ অনেক ভূতের ছবি বক্স অফিস তোলপাড় করেছে। প্রতি বছরই একাধিক ভৌতিক ছবি মুক্তি পায়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। এরইমধ্যে মুক্তি পাওয়া ‘অ্যানাবেল কামস হোম’, ‘দ্য কার্স অব লা লোরনা’ ছবিগুলো দর্শকমহলে সাড়া জাগিয়েছে। নতুন খবর হলো, ভৌতিক সিনেমার ভক্তদের আবারও প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার সময় এসেছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) মুক্তি পেতে যাচ্ছে নতুন ছবি ‘স্ক্যারি স্টোরিজ টু টেল ইন দ্য ডার্ক’। আন্তর্জাতিক মুক্তির দিনেই বাংলাদেশের দর্শকরা ছবিটি দেখতে পারবেন ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে।
আলভিন স্কোয়ার্টজের বই সিরিজ ‘স্ক্যারি স্টোরিজ টু টেল ইন দ্য ডার্ক’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। ছবির অন্যতম প্রযোজক অস্কারজয়ী পরিচালক গিলের্মো দেল তোরো। পরিচালনা করেছেন নরওয়ের চলচ্চিত্র নির্মাতা আন্দ্রে ওভ্রেডাল। অভিনয় করেছেন জো কলেত্তি, মাইকেল গারজা, গ্যাব্রিয়েল রাশ, অস্টিন আব্রামস, ডিন নরিস প্রমুখ।
ষাটের দশকের শেষ দিকে আমেরিকায় একটা পরিবর্তনের হাওয়া বইছিলো। কিন্তু ছোট্ট শহর মিল ভ্যালিতে সে হাওয়া লাগেনি। সেখানে একটা অশান্তি পরিলক্ষিত হয়। সেখানকার প্রজন্মের উপর পরিবারের ছায়া তাড়িয়ে বেড়ায়। বিষয়টা আবিস্কৃত হয় শহরের শেষ প্রান্তে থাকা তরুণীর সারাহ’র ভয়ঙ্কর গল্প থেকে।
স্ক্যারি স্টোরিজ সিরিজের এক বইতে তার নির্যাতিত জীবনের গল্প লেখা হয়। যা একদল টিন এজার, যারা সারাহ’র ভয়ানক বাড়ি আবিস্কার করে তাদের বাস্তব জীবনের সঙ্গে খুব মিলে যায়। শস্য ক্ষেতের একটা কাকতাড়–য়া রীতিমত তাড়িয়ে বেড়ায় তাদেরকে। নিজের ঘরেই ভয়ঙ্কর সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয় তারা। গা ছমছমে এক একটা দৃশ্য, যা দর্শকের বুকে কাঁপন ধরাবে বলে মনে করেন পরিচালক।
ছবিটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী তিনি। গিলের্মো দেল তোরোর মত নির্মাতা যে ছবির নির্মাণের সাথে যুক্ত সে ছবি নিয়ে একটু বাড়তি প্রত্যাশা করাই যায়।