করোনাকালে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ বেশ কিছুদিন হলো, ছিল নিজ নিজ কর্মএলাকায় থাকারও পরামর্শ। তারপরেও এবারের ঈদে থেমে ছিল না মানুষজনের যাতায়াত। অপ্রচলিত নানা যানবাহনে করে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাবার চিত্র গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। ঈদ শেষে শুরু হয়েছে রাজধানীসহ নিজ নিজ কর্মএলাকায় ফেরার যাত্রা। আর সেই সঙ্গে আসতে শুরু করেছে সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ।
চ্যানেল আই অনলাইনের এক খবরে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের রায়মনি নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বেগুন বোঝাই একটি পিকআপ সামনে থাকা একটি ট্রাককে পিছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে পিকআপে থাকা তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এটি শুধু একটি খবর, এরকম আরও অনেক খবর সারাদেশ জুড়ে দেখা গেছে কয়েকদিন ধরে। ইজি-বাইক, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, নসিমন-ভটভটিসহ নানা বাহন উঠে এসেছে হাইওয়েতে, আর ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। আসতে শুরু করেছে হতাহতের খবর।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এই চলমান লকডাউনের মধ্যেও গত এপ্রিল মাসে দেশে ৩৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৫২ জন এবং আহত হয়েছেন ৫১৯ জন। এরমধ্যে নারী ৫৪ জন ও শিশু ৪৭ জন। এসময় দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে সর্বাধিক ১৪৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৮ জন। বুধবার (০৫ মে) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এপ্রিল মাসের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তারা।
এরকম চিত্র হয়তো এই মে মাসেও দেখা যাবে! কারণ ঈদ যাত্রায় ইতিমধ্যে অনেক মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করেছে পুরো দেশজুড়ে। করোনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হিসেবে সরকারি নির্দেশনাকে সম্মান জানানো দেশের সকল নাগরিকের উচিত ছিল, যদিও তা মানা হয়নি। আর সরকারের উচিত এ বিষয়ে কিছুটা কঠোর হওয়া। নয়তো করোনার প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কেও ঝরে যাবে বহু প্রাণ।