চলতি মৌসুমে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ তেমন দেখা না গেলেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারের মতো ডেঙ্গুতে ভুগছেন। সরকারের আইইডিসিআর বলছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু মৌসুম। এরপরও যতদিন বৃষ্টি হবে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়বে বলেও সতর্ক করেছে।
চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গুর রোগী সনাক্ত হয়েছে। যদিও জুন-জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ডেঙ্গু মৌসুম। সরকারি হিসেবে জুন মাসে ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে তিনশ’ জন। জুলাই মাসে আট শ’ ৬৪ জন। আর চলতি মাসে ১৪ই আগস্ট পর্যন্ত পাঁচশ’ ৯৬ জন ডেঙ্গু রোগীর তথ্য পাওয়া গেছে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-‘আইইডিসিআর’বলছে, চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ গত বছরের তুলনায় বেশি। আর চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের পরিস্থিতি ২০১৬ সালের কাছাকাছি বা বেশিও হতে পারে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০১৬ সালে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলো ৬ হাজার জনের বেশি, আর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিলো ১৪ জনের। চলতি বছর এখনো পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছর চিকুনগুনিয়ার রোগী নেই বললেই চলে। চিকিৎসকরা বলছেন, একবার চিকুনগুনিয়া হলে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ঐ রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তবে ডেঙ্গু চার ধরনের ভাইরাস দিয়ে হয় বলে একই ব্যক্তি একাধিক বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই চলতি বছর এক ব্যক্তিই একাধিকবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন, এমন রোগীই পাওয়া যাচ্ছে বেশি।
একই ব্যক্তি একাধিক বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়াতে জটিলতাও বেশি। তাই যে কোনো জ্বর অবহেলা না করার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে-এডিস মশার প্রজননস্থল সম্পর্কে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান সংশ্লিষ্টদের। ঈদের ছুটিতে বাসা বাড়ির কোথাও যেন পরিষ্কার পানি জমে না থাকে- বিশেষ করে ফুলের টবে জমে থাকা পানি অপসারণ করা, যে কোনো খালি পাত্র উল্টো করে রাখা এমনকি বাড়ির কমোডও ঢেকে রাখার পরামর্শ তাদের।
বিস্তারিত ভিডিও রিপোর্টে: