লোকে লোকারণ্য মৌচাক মার্কেটের ছোট্ট একটি গয়নার দোকানে উকি দিলেন ফারিয়া। দোকানীকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘টার্সেল লাগানো মালাটা কত?’ দোকানীর উত্তর, ‘একদাম ৫০০ টাকা।’
এবার ঈদে গয়নার ফ্যাশনে চলছে বেশ জমকালো ডিজাইন। ঈদের বাজারে এসব গয়নার দামও আকাশচুম্বী। নানান রাজকীয় ডিজাইনের সাথে বোহেমিয়ান গয়নার ডিজাইন মিলিয়ে রঙিন পুতি, সুতা, টারসেল পেঁচিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ফিউশন গয়না। রঙবেরঙের এই গয়নাগুলো তরুণীদের মন কেড়ে নিচ্ছে খুব সহজেই।
কানের দুল ছাড়া ঈদের সাজ যেন অসম্পূর্ণই থেকে যায়। এবার ঈদে কানের দুলের ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন ধরনের ফ্যাশন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশীয় কাঠ-পুতি কিংবা রুপার ওপর গোল্ড প্লেট করা নয় বরং মেটালের ভারী দুলে স্টোন বসানো কিংবা মিনা করা আফগানী দুলগুলো খুব চলছে এবার। সেই সাথে চলছে ফেসবুকের বিভিন্ন অনলাইন শপের নান্দনিক ডিজাইনের রুপার জমকালো গহনা। গহনা গুলোতে মুঘল ডিজাইনের প্রভাব লক্ষ্য করার মতো।
গলায় কী পরবেন ভাবছেন? কানে যদি হালকা গহনা বেছে নিয়ে থাকেন তাহলে গলায় পড়ুন জমকালো হার। এবার ঈদে গলার জন্যও বিক্রি হচ্ছে জমকালো ডিজাইনের হার। অনলাইন শপগুলো রুপার সীতা হার বিক্রি করছে। সেই সাথে চলছে লেস এবং মেটালের চকার। এছাড়াও মার্কেট ঘুরে দেখা গেল বেশ জমকালো মেটালের নেকলেসের সাথে রঙবেরঙের সুতার টারসেল লাগিয়ে ফিউশন তৈরি করা হয়েছে। এই গয়নাগুলো শাড়ি, কামিজ কিংবা ওয়েস্টার্ন সব ধরনের পোশাকের সাথেই খুব মানানসই।
এবারের ঈদটাই যেন মেটাল এবং রঙিন বিডসের। কারণ চুড়িতেও চলছে মেটালের জয়জয়কার। রাজকীয় ডিজাইনের রুপা কিংবা পিতলের বালা চলছে ঈদে। সেই সাথে চলছে রেশমি সুতা পেঁচানো রঙবেরঙের চুড়ি। এছাড়াও বিডসের রঙিন ব্রেসলেটও চলছে ঈদে যা ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে দারুণ মানানসই।
গত ঈদের সাথে এই ঈদের গয়নার ফ্যাশনের সবচেয়ে বড় পার্থক্য তৈরি করেছে সিলভারের বড় নথ এবং নাক ফুল। নথে পান্না, রুবি, মুক্তা কিংবা পাথর বসিয়ে ডিজাইন করা এই নথগুলো ফ্যাশন সচেতনদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে আছে। স্টাইলিশ এই নথগুলো পাওয়া যাচ্ছে বেশ কিছু ফ্যাশন হাউজে এবং গাউসিয়া, মৌচাক মার্কেট, বসুন্ধরা সিটিতে। অনলাইন শপগুলোও সিলভারের নাক ফুল এবং নথগুলো বিক্রি করছে। একটি মাত্র ফোনেই ক্রেতাদের দোরগোড়ায় তারা পৌঁছে দিচ্ছেন ফ্যাশনেবল জুয়েলারিগুলো।