ঈদে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির চাহিদা সাধারণ সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আর একারণে আগে ভাগেই প্রস্ততি শুরু হয়ে গেছে। তাঁতপল্লীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ পাথরাইল, চন্ডী, নলশোধা, বাজিতপুরসহ বিভিন্ন এলাকার তাঁতীরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। দেশের বৃহত্তম এ তাঁতপল্লীর প্রতিটি ঘরে নকশার আয়োজন চলছে। কেউ শাড়ি বুনছেন, কেউবা আবার কাপড়ে সুতা তুলছেন, কেউ রঙ করছেন সুতা। তৈরি হচ্ছে নানা ডিজাইনের শাড়ী। সুতার গুণগতমান ও ডিজাইন ভেদে বিভিন্ন দামের শাড়ী পাওয়া যাচ্ছে।
সর্বনিন্ম সাড়ে ৪শ’ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা দামের তাঁতশাড়ী তৈরি হয় পাথরাইলের তাঁত পল্লীতে। তবে সময়ের সাথে মজুরী বাড়েনি বলেনি বলে অভিযোগ তাঁতীদের।
তাতীরা বলছেন, অন্যান্য সময়ের চেয়ে এখন কাজ দ্বিগুণ। কিন্তু এ কাজ করে এখন আমাদের সংসার চলে না। নতুন ডিজাইনের কারণেই ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ টাঙ্গাইল শাড়ি। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা টাঙ্গাইলে আসছেন শাড়ি নিতে।
শাড়ি কিনতে আসা ক্রেতারা বলছে, একসঙ্গে অনেক ডিজাইনাদের শাড়ি পাওয়া যায়। ঢাকা বা অন্যান্য জায়গা থেকে এখনো কম দামে শাড়ি পাওয়া যায়। যতই আমরা ইন্ডিয়ান শাগি পড়ি না কেনো টাঙ্গাইল শাড়ি অনন্য।
এখানকার তাঁত শাড়ির বিশেষ সমাদর রয়েছে পাড়ের নকশার জন্য। শাড়ি ছাড়াও তৈরি হচ্ছে থ্রি পিস, ওড়না আর পাঞ্জাবির কাপড়। তাঁত কারিগরদের উন্নত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ও আধুনিক তাঁতপল্লী গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।