ট্রাক সেল থেকে যারা পেঁয়াজ কিনতে পারছেন না, টিসিবি ই-কমার্সের সহযোগিতায় সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজ তাদের বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের এর আয়োজনে জুম প্লাটফর্মে টিসিবি’র “ঘরে বসে স্বস্তির পেঁয়াজ” কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে বড় ধরনের আমদানি ও সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। যারা ট্রাক সেল থেকে কিনতে পারছেন না, তাদের জন্য টিসিবি ই-কমার্সের সহযোগিতায় সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজ বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।
তিনি বলেন: অন্যান্য পণ্যের মতো এখন সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজও ক্রেতারা বাসায় বসে কিনতে পারবেন। ই-কমার্সের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রয়ের ধারণাটি নতুন। এক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আসতে পারে। আমরা থেমে থাকবো না, সমস্যার সমাধান করে এগিয়ে যাবো।
পেঁয়াজ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই আশ্বস্ত করে টিপু মুনশি বলেন: দেশের অভ্যন্তরে দেশি ও আমদানিকৃত পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। ভারত ইতোমধ্যে ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে, এগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু হয়েছে। আশা করা যায় আরও ১০ হাজার টন পেয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিবে ভারত।
মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়ে গেছে। এছাড়াও অনেক দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। পেঁয়াজের কোনো সংকট হবে না। আমরা অস্থির না হয়ে শুধু প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ ক্রয় করলে কোন সমস্যা হবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন: ই-কমার্সের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু ঢাকা ও চট্রগ্রামে পেঁয়াজ বিক্রয় শুরু করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ই-কমার্সের আওতায় দেশের সব স্থানে টিসিবি সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় করবে। এ জন্য ক্রেতা-বিক্রেতা এবং সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে ই-কমার্স ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করেতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের ই-কমার্সে পেঁয়াজ পেতে এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে দেশের ৫টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৬ টাকা মূল্যে ৩ কেজি করে পেঁয়াজ বিক্রয় করা হবে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও পেঁয়াজের পরিমাণ বাড়ানো হবে।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব (রপ্তানি) ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) হাফিজুর রহমান, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক এবং ই-কমার্স প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমি কায়সার, চালডাল কর্মসূচির পরিচালক ইসরাত জাহান নাবিলা এবং নাদিয়া বিনতে আমীন প্রমুখ।